খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই পরিবর্তন করেছেন খাদ্যাভ্যাস

|

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রেস্টুরেন্টের খাবারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। এই বাড়তি মূল্য সমন্বয় করতে গিয়ে সীমিত আয়ের অনেকে পরিবর্তন করেছেন খাদ্যাভাস। পণ্যমূল্যের অতিবৃদ্ধি ক্রেতা ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন ক্যাব সভাপতি। মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো ও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকারকেই ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

কর্মজীবী মানুষকে প্রয়োজনে খেতে হয় স্থানীয় রেস্টুরেন্টে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সেখানে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে পরিবর্তন করেছেন নিয়মিত মেন্যুও। যে খাবারই খেতে চান, আগের থেকে ৫ থেকে ১০ ভাগ দাম বেশি গুনতে হবে। যেসব রেস্টুরেন্ট কিছুটা কম দাম বাড়িয়েছে, তারা আবার খাবারের পরিমাণ ও মান কমিয়েছেন। দাম বাড়িয়ে দিয়েও আগের মত লাভ করতে পারছেন না বলে জানাচ্ছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।

একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, ডিমের দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছি। আর রুটি-পরোটার দাম আগের মতোই আছে, ১০ টাকা। শুধু রুটি-পরোটার সাইজ একটু ছোট হয়েছে এখন।

অতিরিক্ত দামে যখন ক্রেতাকে খাবার খেতে হচ্ছে অথবা খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে বাড়তি ব্যয় সামলাতে হচ্ছে, তখন এটিকে সামগ্রিক অর্থনীতির খারাপ প্রভাব বলে মনে করছেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, মানুষ তো কষ্টে আছে। এখন মানুষ যদি তার ভোগের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং তার চাহিদা কমে যায় তাহলে মন্দা দেখা দেবে এবং কর্মসংস্থান-উৎপাদন ইত্যাদিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। যদি কনজিউমারস ডিমান্ড ভালো থাকে তাহলে অর্থনীতিও ভাল থাকবে।

পন্য আমদানিতে বাড়তি ব্যয় ও দেশের ভেতরে মজুতদারি বাজারমূল্য বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে যদি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply