সীতাকুণ্ডই রানার প্রথম ও শেষ কর্মস্থল

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারানো ফায়ার ফাইটার মো. রানার মিয়ার মরদেহ দাফন করা হয়েছে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে।

নিহত রানার বন্ধু তায়েব সিদ্দিকী জানান, সোমবার(৬ জুন) সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে রানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম গ্রামে পৌঁছে। এসময় পরিবারের সদস্য, স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্সের পক্ষ থেকে রানার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল ৮ টায় স্থানীয় নবগ্রাম খেলার মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় কয়েক শত মানুষের সাথে
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানসহ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরে যথাযোগ্য মর্যাদায় তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, ফায়ার ফাইটার রানা মিয়াকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন রানা মিয়া চাকুরিতে যোগ দেন ২০২০ সালে। সীতাকুণ্ডই ছিলে তার প্রথম কর্মস্থল। আর সেখানেই প্রাণ গেলো তার।

রানা মিয়া এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন। এলাকার সবাই তাকে বেশ পছন্দ করতো, ভালোবাসতো। তাই তার এই অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে গ্রামবাসীও।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply