রাজধানীতে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা। এরপর ট্রাফিক পুলিশ বক্সও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুরাইন পুলিশ বক্সে এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এক মোটরসাইকেল আরোহী উল্টো পথে আসার ঘটনায় মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে আরোহীদের পুলিশবক্সে নিয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার জেরে স্বামী-স্ত্রী ও ভাইকে আটক করে সরকারি কাজে বাধা দানের মামলা করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুরাইনের দিক থেকে আরাফাত ভুইয়ার নামের এক মোটরসাইকেল চালকের সাথে যাচ্ছিলেন তার বোন নিশাত। জুরাইন ট্রাফিক বক্সের সামনে গেলে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন আলী হোসেন তাকে থামার সংকেত দেন। এ সময় আরাফাত ভূইয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা হয় পুলিশের। পরে তার বোন নিশান প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত করেন ট্রাফিক পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিশানের স্বামী বার্তা বিচিত্রার এডিটর রনি। তার সাথেও পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ঘটনাস্থলে থাকা জনতা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পরে উত্তেজিত জনতা ওই ট্রাফিক বক্সে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে শ্যামপুর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদেরর ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে পুলিশ বলছে, আটককৃতদের কোনো নির্যাতন করেনি পুলিশ। বরং পুলিশের ওপর তারা ও তাদের সহযোগীরা হামলা করেছে। হামলায় তিনজনের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ইউএইচ/
Leave a reply