নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা বিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) এনইউজির এক ঘোষণার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দেশটিতে জান্তা সরকারের শাসন অবসানে এনইউজির এটা সর্বশেষ উদ্যোগ।
এনইউজির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নবগঠিত পুলিশ বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ এবং জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসী সামরিক কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। তবে এনইউজি কীভাবে এবং কখন পুলিশ বাহিনীটি গঠন করবে এবং পরিচালনা করবে এবং কতজন কর্মী নিয়োগ করবে তা স্পষ্ট নয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এনইউজি এবং ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্ররা।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং এই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রধান কারিগর। ওই সময় সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে জান্তা সরকার।
সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানাতে এবং জান্তা সরকারকে রুখতে এনএলডির নির্বাসিত পার্লামেন্ট সদস্য ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) গঠন করা হয়েছে, যেটা মিয়ানমারের ছায়া সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বেশ কিছু দেশ ওই সরকারকে সমর্থনও দিচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের এই প্রতিপক্ষকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে, স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি নিহত এবং ১৩ হাজারের বেশি মানুষ আটক হয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে দেশটিতে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট।
ইউএইচ/
Leave a reply