যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নির্ভর করছে দেশগুলোতে কারা ক্ষমতায় থাকবেন তার ওপর। তবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দারুণভাবে সবার সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছে। ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির কথা সবাই বলে, তবে বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে।
ওয়াশিংটনের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) চীন বিষয়ক উপদেষ্টা ম্যাট স্ক্যার্ডার বলেছেন এসব কথা। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়– ভারসাম্যপূর্ণ এই নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনন্য নজির তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নশীল অনেক দেশে চীনের প্রভাব বাড়ছে বলে মনে করেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। সেসব দেশে সামরিক ছাড়াও নীতিগত বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বেইজিংয়ের সংশ্লিষ্টতা বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ এখনও সব পক্ষের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছে বলে মূল্যায়ন ম্যাট স্ক্যার্ডারের। চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে ‘পদ্ধতিগত দুর্নীতি’ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ দিচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক উপস্থিতি। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশীদার হচ্ছে দেশটি। এসব প্রকল্পের ব্যয়, স্বচ্ছতা, পরিবেশগত প্রভাব- এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা। সতর্ক না থাকলে দেশগুলো বিপদেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। আইআরআই’র চীন বিষয়ক উপদেষ্টা ম্যাট স্ক্যার্ডার বলেন, গণতান্ত্রিক বিভিন্ন দেশে চীনের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে। সামরিক ও নীতিগত অনেক বিষয়ে তারা সম্পৃক্ত হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কোথাও কোথাও পদ্ধতিগত দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এসব মোকাবিলায় দেশগুলোকে আরো শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
চীনা ঋণের ফাঁদে না পড়তে বাংলাদেশ যথেষ্ট সতর্ক বলেও মনে করেন এই মার্কিন বিশেষজ্ঞ।
/এম ই
Leave a reply