উজানের ঢলে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

|

উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হাজার-হাজার মানুষ। তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩২টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

রৌমারীর ২১টি বিদ্যালয়ে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। ডুবেছে ১০৭ হেক্টর জমির ফসলও। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় দুর্ভােগে পড়েছে মানুষ। ডুবেছে রংপুর-লালমনিরহাট-গাইবান্ধাসহ তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলও। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। বেড়েছে যমুনার পানিও।

এছাড়া তিস্তার পানি এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। যেকোনো মুহূর্তে তা বিপদসীমা ছারিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে তিস্তায় গত বুধবার থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং কোনো কোনো স্থানে যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করবে।

পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এই নীলফামারীর ডিমলার ছাতনা এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি, এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত অববাহিকার ৩৫২ কিলোমিটার এলাকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এই সব এলাকার উঠতি বাদাম, আমনের চারা, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে। বড় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

এদিকে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেড়েছে নদ-নদীর পানি। এতে ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের মানুষ এখন পর্যন্ত পানিবন্দি। এসব জায়গায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট, বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply