কক্সবাজার প্রতিনিধি:
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে ‘আরসা’ নামের কথিত একটি রোহিঙ্গা সংগঠন। মামলায় অভিযুক্তরা সবাই সেই সংগঠনের সদস্য এবং তাদের সর্বোচ্চ নেতা আতাউল্লাহর নির্দেশেই আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আতাউল্লাহসহ মাস্টার মাইন্ড ৭ জনের সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদেরকে আসামি করা যায়নি। তবে অভিযোগপত্রে তাদের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে, গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথে তারা এ মামলার আসামি হবেন।
সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে উখিয়া থানা পুলিশ অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করে। এতে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী অভিযোগপত্র দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর ১৪ জন এখনও পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত অফিসার ছিলেন উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার (১৩ জুন) তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ও ৩ জন স্বাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা ও অবস্থান এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাই ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply