অস্তিত্ব সংকটে সিরিয়ার বিখ্যাত অ্যারাবিয়ান হর্স

|

বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রজাতির ঘোড়ার অন্যতম অ্যারাবিয়ান হর্স, যা একসময় ছিল সিরিয়ার শৌর্যবীর্যের প্রতীক। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এখন অস্তিত্ব সংকটে আরব্য ঘোড়া। সংঘাতের বলি বা হত্যার শিকার হয়ে মাত্র এক দশকে ঘোড়ার সংখ্যা কমেছে এক চতুর্থাংশ। অস্থিতিশীল দেশ হওয়ায় ঐতিহ্য রক্ষায় নেই বিশেষ কোনো পদক্ষেপ। তবে ভুবনখ্যাত আরব্যঘোড়া বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন কেউ কেউ।

সিরিয়ার ঐতিহ্য আর গর্ব এই আরব্য ঘোড়া সাহসিকতায় অনন্য। আবার ধৈর্য্যের দিক থেকে ঘোড়সওয়ারের অনুগত সহচর। পালকদের কাছে যেন নিজ সন্তানের মতোই। সিরিয়ান ঘোড়া খামারি মান জাফর বলছেন, একটি দিনও ঘোড়া ছাড়া ভাবতে পারি না। আর্থিক কারণে নয়। বরং ওদের খুব ভালোবাসি আমি। আমরা নতুন ঘোড়ার নামকরণ নিজের বাচ্চাদের নামে করি।

তবে সিরিয়ায় যুদ্ধের বলি হিসেবে এখন অস্তিত্ব সংকটে তেজোদীপ্ত অ্যারাবিয়ান হর্স। দেশটিতে এক দশকে ২০ হাজার থেকে ১৫ হাজারে নেমেছে এই প্রজাতির ঘোড়ার সংখ্যা। সংঘাত কবলিত এলাকাগুলোতে পাহাড়ে অস্ত্র পরিবহনে আরব্য ঘোড়া ব্যবহার করে বিভিন্ন গোষ্ঠী। অনেক সময় এসব গোষ্ঠীর সংঘাতের বলি হয় ঘোড়াগুলো। কখনও শত্রুতাবশত করা হয় হত্যা। এমনকি খাওয়ার জন্যও জবাই করা হয় প্রাণীগুলোকে।

অ্যারাবিয়ান হর্স পালনে আরেক চ্যালেঞ্জ খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। বিরল প্রজাতির প্রাণীটির সুরক্ষায় এর প্রজননের উদ্যোগ নিয়েছেন হোমস শহরের খামারি জাফর ও তার ভাই। ২০১৫ সালে শহরতলীতে তারা একটি ফার্ম করেন। সেখানে এখন ঘোড়ার সংখ্যা ৬০টি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply