নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল্লা নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার

|

প্রার্থীদের প্রচারণ শেষ; দিন পেরোলেই কুমিল্লা নগরীতে শুরু হবে ভোট উৎসব। নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়মিত টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যরা। একইসঙ্গে গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচলেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৩ জুন) রাত ১২টার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। তবে এ সময়ে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পাবেন।

এ ভোটের লড়াইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ২৭টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ২৭টি র‍্যাবের টিম, ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকছেন। এছাড়া ২টি রিজার্ভ টিম থাকবে।

সিলেট, চট্রগ্রাম, ফেনী, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এবার কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হবে। এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন নির্বাচন করলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তিনজনের মধ্যে। তারা হলেন মনিরুল হক সাক্কু, আরফানুল হক রিফাত ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। এরমধ্যে আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের সাবেক মেয়র এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আর নিজাম উদ্দিন কায়সারও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। নির্বাচনের অংশ নেয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে, সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন ১১১ জন। আর ৩৬ নারী অংশ নিয়েছেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে।

উল্লেখ্য, কুসিকে এটি তৃতীয় নির্বাচন। আগের দুই নির্বাচনেই মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং দ্বিতীয়বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply