ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে খাদ্য সঙ্কটের মুখে আফ্রিকার দেশগুলো, এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিশ্বজুড়ে যে খাদ্য সঙ্কট শুরু হয়েছে রুশ আগ্রাসন বন্ধ না হলে তা দুর্ভিক্ষে গড়াবে বলেও আশঙ্কা জেলেনস্কির। আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে এমন আশঙ্কা জানান জেলেনস্কি। এদিকে ইউক্রেনের নতুন আরেকটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলনীয় শহর লিসিচানস্কেও।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই আলোচনায় খাদ্য সঙ্কটের ইস্যুটি। রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে গম ও শস্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। এ অবস্থায় সোমবার (২০ জুন) আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেন, রুশ আগ্রাসনের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে আফ্রিকার সাধারণ মানুষ।
বৈঠকে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধটা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে অনেক দূরে হলেও এর কুপ্রভাব বিশেষ করে খাদ্য সঙ্কট সরাসরি আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর পড়ছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ফলে সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। বিশ্বজুড়ে যে খাদ্য সঙ্কট শুরু হয়েছে, রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হলে তা দুর্ভিক্ষে গড়াবে।
এ অবস্থায়, ইউক্রেনের আরও একটি নতুন শহর দখল নিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেভেরোদোনেস্কের মেটিওলকিন শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ওলেকজান্দার শাটপ্যান বলেন, সেভেরেদোনেস্কের উপকণ্ঠের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী, তাদের লক্ষ্য অন্তত ৪টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। একদিক থেকে চলছে গোলাবর্ষণ, অন্যদিকে বিমান হামলা।
এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিসিচানস্কে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। শহরটির মেয়র জানান, রোববার (১৯ জুন) রাত থেকেই সেখানে চলছে টানা গোলাবর্ষণ।
/এসএইচ
Leave a reply