জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১শ ১৯তম জন্মদিন আজ। যিনি একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী মানুষটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। এখনও তিনি আমাদের দ্রোহের প্রতীক, প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা। তার প্রতি অমেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৮৯৯ সালের আজকের দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি। কাজী নজরুল ইসলামের ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। ১৯৪২ সালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারান কবি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরে কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।
এদিকে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী। সকালে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও শিক্ষক সমিতির নেতারা। কবি পরিবারের সদস্যরাও ফুল দিয়ে স্মরণ করেন কবিকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এবারে নজরুলজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান ময়মনসিংহের ত্রিশালে। যেখানে রাষ্ট্রপতির যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘জাতীয় জাগরণে কবি নজরুল।’
Leave a reply