সবচেয়ে কম ম্যাচে শততম টেস্ট হারের লজ্জা এখন বাংলাদেশের

|

ছবি: সংগৃহীত

সব পরাজয়ই লজ্জার নয়। তবে লাগাতার পরাজয়ে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডই হয়ে যায় তবে তা লজ্জার কারণ হয় বৈকি! টেস্টের কুলীন ফরম্যাটে এমনই এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর সেটা এতটাই বড় যে, সেন্ট লুসিয়াতে দ্বিতীয় টেস্ট ১০ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশের চেয়েও বড় লজ্জার সাগরে ডুবেছে টাইগাররা। টেস্ট প্লেয়িং দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে শততম পরাজয়ের ‘অগৌরব’ জুটলো এবার সাকিব বাহিনীর ললাটে।

অ্যান্টিগার মতো সেন্ট লুসিয়াতেও বড় হারের শিকার হলো বাংলাদেশ। টেস্টের চতুর্থ দিনেই সাকিব বাহিনী হেরেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। টেস্ট ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের শততম পরাজয়। বাংলাদেশের চেয়ে এতো কম ম্যাচ খেলে শততম হার দেখেনি কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ। এমনকি ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েও বাংলাদেশের এই লজ্জার রেকর্ডটি ভাঙতে পারবে না। মাত্র ১৩৪ টেস্ট খেলেই ১০০ হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ হারের রেকর্ডটি এতোদিন ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে। ১০০ টেস্ট হারতে কিউইদের লেগেছিল ২৪১ টেস্ট। শ্রীলঙ্কা শততম হারের স্বাদ পেয়েছিল নিজেদের ২৬৬তম টেস্টে এসে।

শততম হারের মুখ দেখতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলার পর প্রায় শত বছর পর ৩৭৪তম টেস্টে অজিরা পেয়েছিল শততম হারের স্বাদ। এছাড়া ১০০টি টেস্ট হারতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৬৮, পাকিস্তানের ৩৫৭, ইংল্যান্ডের ৩৪১, ভারতের ৩০৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ২৭৯ ম্যাচ লেগেছিল।

টেস্টে এখনও ১০০ হারের স্বাদ পায়নি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে তাদেরও জয়-পরাজয়ের হার ভালো। এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ে হেরেছে ৭৫টি, জিতেছে ১৩ ম্যাচে। অর্থাৎ সামনের ২৫ টেস্টের সবগুলো হারলেও পরাজয়ের সেঞ্চুরি করতে জিম্বাবুয়ের লাগবে ১৪২ ম্যাচ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কখনোই টেস্ট সংস্কৃতি ছিল না: সাকিব

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply