জঙ্গিদের সব ধরনের নেটওয়ার্ক গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আর কোন ধরনের হামলার সক্ষমতা নেই। তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার।
শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ছয় বছর উপলক্ষে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন তারা। সেই সাথে, শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও নিহতের পরিবারের সদস্যরাও।
র্যাবের পক্ষে মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের পক্ষে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম শ্রদ্ধা জানান। এ সময়, র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের হামলা করার সক্ষমতা জঙ্গিদের নেই। কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাসবিরোধী ও জঙ্গিবিরোধী জিরো টলারেন্সের নীতিতে দায়িত্ব পালন করে জঙ্গিবাদকে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ঈর্ষণীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছে, সেখানেও কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সিটিটিসির আদলে একটি করে ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের গ্রেফতার করছে। তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টাকে আমরা শুরুতেই নস্যাৎ করে দিতে পারছি।
এর আগে শ্রদ্ধা জানান ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, হামলায় নিহত সাত জাপানি নাগরিক মেট্রোরেল লাইন ওয়ান প্রকল্পের গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। যারা ভুক্তভোগী, তাদের সবাইকে স্মরণ করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলার ৬ বছর, ফাঁসির আদেশ হলেও উচ্চ আদালতে বিচার শুরু হয়নি ৭ জঙ্গির
/এম ই
Leave a reply