হার্টের সমস্যা এখন বয়স দেখে হচ্ছে না। ৪০ বছরের নীচেও মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্ট্রেস, অনিয়মিত জীবনযাপন এর জন্য অনেকটাই দায়ী। তাছাড়াও কিছু খাবার খেলে সরাসরি হার্টের অসুখের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দেখে নেয়া যাক কোন খাবারগুলির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ লবণ। শরীরে সোডিয়ামেরও প্রয়োজনীয়তা আছে কিন্তু তার সীমা থাকা উচিত। ১১ গ্রাম পর্যন্ত লবণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ খেতে পারেন। কিন্তু লবণ ঠিক কতটা খাবেন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’র মতে, দিনে যে পরিমাণ ফ্যাট শরীরে যায় তার মাত্র ৫-৬ শতাংশই স্যাচুরেটেড ফ্যাট হওয়া উচিত। প্রাণীজ খাবার থেকে তৈরি প্রোডাক্ট ও কিছু তেলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ৩০ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। চিনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা স্বাভাবিকের থেকে বেশি চিনি খান, তাদের মৃত্যু হার্টের অসুখের কারণেই হয়ে থাকে। বিশেষ করে মিষ্টি, সন্দেশ, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, চকোলেট এড়িয়ে চলা উচিত।
তবে ডায়েট ঠিক রেখেও কিছু সময়ে সমস্যা হয়। অতিরিক্ত মদ্যপান, কম ঘুম, ধূমপান হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
আজকাল প্রসেসড খাবার খাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি থাকে। ব্যস্ততার যুগে প্যাকেটের খাবারের ওপর নির্ভর করেন অল্পবয়সীরা। তার সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অভাব। তাই অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/
Leave a reply