অন্ধ্রপ্রদেশে মেকআপ করে ৩০ বছরের কনে সেজে তৃতীয় বিয়ে করলেন ৫৪ বছরের নারী

|

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্টদের কল্যাণে চেহারায় পরিবর্তন আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৪ বছরের এক নারী সাজলেন ৩০ বছরের কনে। সেই সাজে বিয়ে করলেন এক যুবককে। সেটি আবার তার তৃতীয় বিয়ে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের তিরুপতি জেলায়।

ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মেকআপের জোরে প্রতারণার বিরাট ফাঁদ পেতেছিলেন ওই নারী। সম্প্রতি তার আধার কার্ড সামনে আসার পরে গোটা ঘটনা ফাঁস হয়। কমবয়সী সেজে বিয়ে করেই ক্ষান্ত হননি, ওই জালিয়াত নারীর অত্যাচারে বেহাল দশা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। এরইমধ্যে সম্পত্তি হাতাতে শাশুড়িকে বাড়িছাড়া করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিয়ে মানে না বৃষ্টির বাধা, মধ্যপ্রদেশে ত্রিপল মাথায় দিয়ে হাজির বরপক্ষ

৩৪ বছরের বিবাহবিচ্ছিন্ন ছেলের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার বাসিন্দা ইন্দ্রানী। বেশ কয়েক বছর খোঁজাখুজির পর ঘটকের সূত্রে তিরুপতি জেলার পাত্রী শরণ্যার খোঁজ পান। পাত্রীকে দেখতে যান মা-ছেলে। কিন্তু ধরতে পারেননি মেকআপে ঢাকা তার বয়স। পাত্রপক্ষ আসার আগেই বিউটিপার্লারে গিয়ে ৩০-এর যুবতী সেজেছিলেন শরণ্যা।

বিয়ের পর থেকেই শাশুড়িকে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন শরণ্যা। এমনকি একসময় শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেন। স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বামী শেষপর্যন্ত সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য শরণ্যার আধার কার্ড চান। সেই আধার কার্ডেই গোলমাল ধরা পড়ে।

তাছাড়া সেখানে ঠিকানায় লেখা ছিল কেয়ার অব রবি। নতুন প্রশ্ন ওঠে, রবি কে? উত্তর খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী। তখনই জানা যায় শরণ্যা বিবাহিত। এমনকি তার দুই মেয়ে রয়েছে। তারাও বিবাহিত। যদিও সেই স্বামীর সংসার ছেড়ে মায়ের কাছে ফিরে আসেন শরণ্যা।

সে সময় মামলা করে স্বামীর থেকে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন। এখানেই শেষ নয়। এর আগে নিজেকে সন্ধ্যা নামে পরিচয় দিয়ে আরও এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ওই ভণ্ড নারী। কিন্তু ১১ বছর সংসার করে সেখানে থেকেও ফিরে আসেন মায়ের কাছে। এরপর ইন্দ্রানীর ছেলেকে বিয়ে করে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন। ইন্দ্রানী ও তার ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ধ্যা ওরফে শরণ্যাকে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply