বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে তাদের পাশে থাকতে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার (১০ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় দলের চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাতের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণায় যেখানে বন্যায় মানুষ প্লাবিত হয়েছে, এই দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা যেভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছো ঠিক সেভাবেই তোমরা বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি এখন যে অবস্থায় আছেন তাতে তার ইমিডিয়েট কোনো বিপদ না থাকলেও তিনি এখনো অসুস্থ। আমরা বার বার বলে আসছি, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বাইরে নেয়া জরুরি। এখানকার ডাক্তাররা বার বার করে বলেছেন যেরকম উন্নত চিকিৎসা তার (খালেদা জিয়া) দরকার, সেই উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র এখানে নেই। যে কারণে তারা (চিকিৎসকরা) মনে করেন, ম্যাডামের সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য অবশ্যই দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া প্রয়োজন। আমরা সেই কথা আবারও আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
এর আগে রোববার রাত সোয়া ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। মির্জা ফখরুলের সাথে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দুই বছর কারাগারে বন্দি থাকায় তার সাথে নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়নি। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত হয়ে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। এবার নাতনিদের নিয়ে গুলশানের বাসায় ঈদ পালন করছেন খালেদা জিয়া। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে খালেদা জিয়ার সাথে কেউ সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। তবে গেল ঈদুল ফিতরের দিন মির্জা ফখরুলসহ স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতা খালেদা জিয়ার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এবার নাতনিদেরও পাশে পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ইউএইচ/
Leave a reply