ঈদের প্রথম দু’দিনে এক লাখ পিস চামড়াও কিনতে পারেননি পোস্তার আড়তদাররা। অথচ টার্গেট ছিল আরও বেশি। আড়তদারদের দাবি, রাজধানীর আশপাশে অস্থায়ী আড়তে এবার চামড়া হাতবদল হয়েছে। কেনা-বেচা হয়নি খাসির চামড়া। তাই কিছুটা সংকট আছে।
রাজধানীর পোস্তার সড়কে দেখা যায় পচে যাওয়া চামড়ার স্তুপ। এতে শিং ও মাথার অংশের উচ্ছিষ্ট তো আছেই। সাথে ভেড়া ও খাসির চামড়া মিলছে অহরহ। জানা যায়, কদর না থাকায় ছোট আকারের চামড়া এখন কেউ কেনে না। অথচ কয়েক বছর আগেও খাসির চামড়ার পিস ছিল দেড়শ থেকে দু’শ টাকা।
লালবাগের পোস্তায় সেই চিরচেনা ব্যস্ততা নেই। ৮ বছর আগেও ঈদ মৌসুমে এখানে হাতবদল হতো প্রায় ১০০ কোটি টাকা। অথচ এখন তা অর্ধেকের কম। তারপরও যারা সংগ্রহ করেছেন, লবণ মাখিয়ে তা স্তুপ করা হয়েছে। এভাবে সংরক্ষণ করা যাবে সর্বোচ্চ ২ মাস। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু চীনে রফতানি করে চামড়ার আগের দাম ধরে রাখা কঠিন।
লবণ মাখানোর পরও চামড়ার মান ঠিক থাকবে, তা হলফ করে বলা কঠিন। তবে ৫ শতাংশ পর্যন্ত পচন সামাল দিতে পারেন আড়তদাররা।
এবার রাজধানীতে অন্যান্য জেলার চামড়া ঢুকবে ৭ দিন পর। দাম নিয়ে জটিলতা আছে প্রান্তিকেও। কাঁচা চামড়ার দাম ঠিক করে দিতে সরকারের নানা মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন আড়তদাররা।
Leave a reply