ওয়ানডেতে দেশের বাইরের কন্ডিশনে বাংলাদেশের স্পিন ডিপার্টমেন্টের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নেয়ার আগে মিরাজ ভাল করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও। গেল ১ বছরে এশিয়ার বাইরের কন্ডিশনে পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, ওয়ানডেতে একজন পরিপূর্ণ বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ডানহাতি এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।
সেঞ্চুরিয়নে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কুইন্টন ডি কককে ফেরাতে ক্যাপ্টেনের ট্রাম্পকার্ড ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে ৪.৪৮ ইকোনমিতে মিরাজ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যে কোনো স্পিনারের জন্য পরিসংখ্যানটা বেশ স্বস্তির। সেই স্বস্তি মেহেদী মিরাজ গায়ানায়ও দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে চলমান সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে কাইল মায়ার্স, রভম্যান পাওয়েল আর নিকোলাস পুরানের উইকেট ঝুলিতে ভরে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি।
গেল ১ বছরে বিরুদ্ধ কন্ডিশনগুলোতে ভাল সার্ভিস দিচ্ছেন মেহেদী মিরাজ। এর মধ্যে দেশের বাইরের মাটিতে বল করার জন্য রানআপ থেকে শুরু করে গ্রিপ, সব জায়গাতেই বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন এই অফ স্পিনার। বাঁহাতিদের বল করার সময় একটু বেশি অ্যাঙ্গেল পাওয়ার জন্য অনেকটাই ওয়াইড অফ দ্য ক্রিজ বোলিং করেন, লাইনটাও সেই অনুযায়ী ম্যানেজ করেন। আবার ডানহাতিদের সময় ক্লোজ টু দ্য উইকেট এসে বোলিং করেন বলে লাইনটাও থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্লোজ টু দ্য স্টাম্পই থাকে।
মিরাজের ক্যারিয়ারের শুরুর ৩ বছর অর্থাৎ, ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত দেশের বাইরের মাটিতে বোলিং গড় ছিল ৪৫.৫৩, ইকোনমিও ছিল বেশি। গত ১ বছরে ওভারসিসের সেই বোলিং গড় নেমে এসেছে ২৯.৯০তে; ইকোনমিও ৫ এর নিচে। এই পরিসংখ্যানটাই বলে দেয়, দেশের বাইরের মাটিতে কতটা উন্নতি করেছেন মেহেদী মিরাজ।
সাকিব আল হাসানের মতো কিছু ব্যতিক্রম বাদে, বাংলাদেশের স্পিনারদের ব্যাপারে পুরনো অভিযোগ হলো, তারা শুধুমাত্র দেশের মাটিতেই কার্যকর। ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মিশনে সেই জায়গাতে উজ্জ্বল মেহেদী মিরাজ। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে এখন পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ; এবং সেই সংখ্যা আরও বড়বে বলেই মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ে সফরে না গিয়ে সিপিএল খেলতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান
/এম ই
Leave a reply