চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমলো

|

চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনলো বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, এবার কোরবানি কম হয়েছে। তাই ৫ লাখ পিস কমিয়ে ৯৫ লাখ পিস সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। ট্যানারি মালিকদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি থাকায় চামড়া বাজারের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। সরকার নির্ধারিত দামেই বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি করে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

চাহিদার সিংগভাগ চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানি ঈদের সময়। ঈদের দিন থেকেই আড়তের পাশাপাশি ট্যানারিতে চামড়া পাঠায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহখানেক ধরে বিভিন্ন আড়ত থেকে ট্যানারিতে আসে চামড়া। ঈদের পর সাড়ে তিন লাখ পিস চামড়া গেছে ট্যানারি শিল্প নগরীতে। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা দাবি করেন, এবার কোরবানি কম হয়েছে। তাই এক কোটি পিস সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বর্তমানে ৯৫ লাখ পিস সংগ্রহের আশা করছেন তারা। চাহিদা না থাকায় এবার ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে বলেও জানান তারা।

বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারে ৫-৬টি শিল্প কারখানা আছে যেখানে ছাগল ও খাসির চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাবও কিন্তু কয়েক বছর যাবত পড়ছে। প্রায় ৯৫ থেকে ৯৯ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হবে। সংরক্ষণের অভাবে দেশব্যাপী ছাগলের কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে।

চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট অ্যাসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেছেন, এবার প্রশাসনের নজরদারি ছিল ভালো। বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ট্যানারি মালিকরা এ বছর সরাসরি কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছে। তাই ঢাকা শহরে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য় কম ছিল।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেন, জরুরিভিত্তিতে পরিবেশ ছাড়পত্র প্রয়োজন। হাজারীবাগে সম্পদের বিপরীতে থাকা ঋণ মওকুফও জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য আমদানির জটিলতা নিরসনের দাবি জানায় নেতারা। আগামীতে লবণ ছাড়া এবং লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যার্নাস অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন: জৌলুস হারাচ্ছে চামড়া খাত; ইউরোপের বাজার হারিয়ে মাথায় হাত ট্যানারি মালিকদের

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply