বছরের ব্যবধানে রাজশাহীতে আষাঢ়ে বৃষ্টিপাত কমেছে ৮৯ শতাংশ

|

তীক্ষ্ণ নীল আকাশের গায়ে সাদা মেঘের ভেলা। আষাঢ়ে এমন আকাশ অচেনা। কিন্তু এবার বর্ষার প্রথম মাসটা পুরোপুরি চলে গেলো মাথার ওপর এমন আকাশ রেখে; প্রায় বৃষ্টিহীন, অসহ্য গরমে।

এরমধ্যে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে রাজশাহীতে আষাঢ়ে বৃষ্টিপাত কমেছে প্রায় ৮৯ শতাংশ। পাল্লা দিয়ে কমেছে বৃষ্টিস্নাত দিনের সংখ্যাও। ফলে বর্ষার প্রথম মাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন এক গবেষণা বলছে, জলাশয় ভরাট, গাছ কাটা ও কংক্রিটের আধিক্য ভবিষ্যতে গ্রীষ্মকালকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, এবার আষাঢ়ের শেষভাগে রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একটি দিনের জন্যও ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। আর চারদিন পারদ পেরিয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভরা বর্ষা মৌসুমেও এবার মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলার প্রধান কারণ নজিরবিহীন বৃষ্টিহীনতা। আবহাওয়া অফিস বলছে, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এবার আষাঢ়ে বৃষ্টিপাত কমেছে ৩১৪ দশমিক ৯৮ মিলিমিটার। মাসের অর্ধেকেরও বেশি দিন ছিল বৃষ্টিহীন। গেলো বছর আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহে যেখানে ১৭২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল, সেখানে এবার হয়েছে মাত্র ১ মিলিমিটার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের নতুন এক গবেষণা বলছে, গত ৩৪ বছরে মার্চ থেকে জুলাইয়ে রাজশাহীর তাপপ্রবাহের সময়কাল ক্রমে বেড়েছে। প্রতি মাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে আগামীতে উষ্ণতা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে গবেষণায়।

রাবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্যাহ আল মারুফ জানান, জলাশয় ভরাট, বৃক্ষ নিধন আর বহুতল দালানকোঠার দ্রুত বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা বলছে, এ অঞ্চলে আগামী দিনের তাপদাহ মোকাবেলায় এখন থেকেই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply