বাংলা ক্যালেন্ডারে এখন পুরোদস্তুর বর্ষাকাল। শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় দিন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে পুরো দেশজুরে বৃষ্টির কোনো ছিটেফোঁটা তো নেইই। বরং তীব্র গরম ও রোদে জীবন নাজেহাল।
গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই তাই বেছে নিচ্ছেন রাস্তার পাশের ঠাণ্ডা শরবত কিংবা কোমল পানীয়। এতে যেমন ঠাণ্ডা সর্দি কিংবা কাশির মতো সমস্যা বাড়ছে তেমনি বাড়ছে পেটের অসুখ। কাজেই গরম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হতে হবে সচেতন আর বেছে নিতে হবে সঠিক পন্থা।
প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই পানি পানে হতে হবে আরও সচেতন। প্রতিদিন গড়ে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব সময় সাথে পানির বোতল রাখার অভ্যাস করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান না করলে ডায়রিয়ার মতো অন্যান্য রোগেও ভোগাতে পারে আপনাকে।
গরমের সময় প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে। তাই কাপড় নির্বাচনে হতে হবে সচেতন। ঢিলেঢালা, সুতি আর হালকা রঙের জামাই হতে পারে এ গরমের সবচেয়ে সঠিক নির্বাচন।
ব্যাগে সব সময় ফোল্ডিং ছাতা, পানির বোতল, টিস্যু এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। এতে করে গরম থেকে যেমন নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন তেমনি হাতের কাছে প্রয়োজনে পাবেন সবকিছুই।
গরমের কারণে অনেকেরই ত্বকে ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখ বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। লোমকূপ পরিষ্কার থাকলে আপনার ত্বক যেমন পরিষ্কার থাকবে তেমনি আপনিও নিজেকে রাখতে পারবেন ফ্রেশ।
গরমের এ সময়ে খাবারের দিকে লক্ষ রাখুন। বাইরের ভাজাপোড়া, কিংবা পানীয় পান না করাই ভালো। যতটা সম্ভব মৌসুমি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন আর পাশাপাশি খাবারের তালিকাতে টকদই, ঠাণ্ডা দুধের মতো খাবার রাখতে পারেন।
/এনএএস
Leave a reply