কোচিং ক্যারিয়ারে মেধার সেরাটা দিয়ে নতুন ক্রিকেটার তৈরি করতেই আবারও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নিয়েছি, বলেছেন স্টুয়ার্ট ল। এবার মাঠের খেলার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পরিণত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শেখাতে মাইন্ড ট্রেনার নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছেন এই অজি। অন্যদিকে, ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফর বলছেন, ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক মানের করতে বিদেশে ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আর স্টুয়ার্ট ল’র সম্পর্কটা বেশ পুরোনো। ২০১১-১২ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে বেশ সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন এই অজি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে মিরাজ, শান্তদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হয়ে দ্বিতীয় দফা বিসিবির সাথে যুক্ত হন এই অস্টেলিয়ান। এবার তৃতীয় দফা বিসিবির সাথে যুক্ত হলেন ল। আবারও যুব দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন এই হাই প্রোফাইল কোচ। কিন্তু কেন জাতীয় দল ছেড়ে যুব দলে এলেন এই অজি; প্রশ্নটির জবাবে স্টুয়ার্ট ল বলেন, আমি বেশ কিছু জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই ভূমিকায় খুব বেশি ক্রিকেট শেখানো যায় না। কিন্তু বয়সভিত্তিক দলে আপনি একজন ক্রিকেটারকে গড়ে তুলতে পারবেন। আমার আগের ব্যাচের মিরাজ, শান্তদের জাতীয় দলে দেখে খুব ভালো লাগে।
যুব দলের ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করাই হবে স্টুয়ার্ট ল’র প্রধান কাজ। তবে মাঠের খেলার পাশাপাশি ক্রিকেটের বাইরের জীবনে নিজেদের সামলাতেও পরিণত করতে চান এই অজি। বিশেষ করে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে কীভাবে নিজেদের সামলাতে হয়, সেই শিক্ষা দেবেন ল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই কোচ বলেন, আমরা চাইলে যুব দলের ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারি। কিন্তু এটা সমাধান নয়। একজন মাইন্ড ট্রেনার নিয়োগ দেবো। যিনি ছেলেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো ও খারাপ দিকে নিয়ে সচেতন করবে এবং কীভাবে চাপমুক্ত থাকা যায় শেখাবে।
পরিবর্তী যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে। কিন্তু কোথায় হবে সেই টুর্নামেন্ট তা এখনও নিশ্চিত করেনি আইসিসি। আপাতত ৪০ জনের প্রাথমিক দল থেকে শক্তিশালী এই স্কোয়ার্ড গঠন করা হবে। এরপর বিশ্বকাপের ভেন্যু চূড়ান্ত হলে কন্ডিশন অনুযায়ী বেছে নেয়া হবে সেরা দল। বিশ্বকাপের আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য ২০টিরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ব্যাটি কোচ ওয়াসিম জাফর বলেন, ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক মানের করতে বিদেশের মাটিতে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সব দলই হোয়াইট বলের জন্য দারুণ। তবে লম্বা ভার্সন ক্রিকেটকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই জয়াসুরিয়ার অনন্য কীর্তি
/এম ই
Leave a reply