রিশাভ পান্তের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি নাকি হার্দিক পান্ডিয়ার অলরাউন্ড নৈপুণ্য, কোনটিকে বেছে নেয়া হবে ম্যাচ সেরার জন্য? এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আয়োজকদের। অবশেষে সিরিজ জয়ের আনন্দের সাথেও মিশে গেল পান্ত ও পান্ডিয়ার অর্জন। ১২৫ রানের হার না মানা সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পান্ত; আর বল হাতে ২৪ রানে ৪ উইকেটের পর ব্যাট করতে এসে পাল্টা আক্রমণে ৫৫ বলে ৭১ রান করা পান্ডিয়া হয়েছেন সিরিজ সেরা। আর ইংল্যান্ডের ২৫৯ রানের সংগ্রহকে অপর্যাপ্ত প্রমাণ করে ৪৭ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে রোহিত শর্মার ভারত।
ম্যানচেস্টারে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জাসপ্রিত বুমরাহর জায়গায় দলে আসা মোহাম্মদ সিরাজের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। দলীয় ১২ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা; সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট। এরপর বেন স্টোকসকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে জেসন রয়। কিন্তু ৬৬ রানের মাথায় রয় ও ৭৪ রানে স্টোকসকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে ভালোভাবে ভারতকে ফিরিয়ে আনেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর মূলত লড়েছেন জস বাটলার। তার ৬০ রানের ইনিংসের সাথে মইন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রেইগ ওভারটনদের ছোট ছোট ইনিংসের সুবাদে ২৫৯ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। ভারতের পক্ষে ইকোনমি রেট ও উইকেট দখল উভয় দিকেই অনন্য ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ ওভারে ৩টি মেডেন নিয়ে মাত্র ২৪ রান খরচায় তিনি নেন ৪ উইকেট।
২৬০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। রিস টপলির শিকার হয়ে ৩৮ রানের মধ্যে একে একে সাজঘরে ফেরেন শিখার ধাওয়ান, রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি। এরপর ৭২ রানের মাথায় সূর্যকুমার যাদবও ফিরে গেলে লক্ষ্যটাকে বেশ বড়ই হচ্ছিল ভারতের জন্য। তবে নেমেই পাল্টা আক্রমণ চালান হার্দিক পান্ডিয়া। ইনিংসের প্রায় পুরো সময়ই ১০০’র উপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা পান্ডিয়ার সাথে বেশ দেখেশুনেই ব্যাট করছিলেন রিশাভ পান্ত। উইকেট ধরে রাখার দিকেই ছিল তার মনোযোগ। তবে পঞ্চাশ পেরুনোর পরই দেখা মেলে চেনা পান্তের।
হার্দিক ৭১ রানে আউট হলেও নতুন ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজাকে দর্শক বানিয়ে ইংলিশ বোলিং ইউনিটকে কচুকাটা করতে থাকেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিশাভ পান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও তুলেন নেন পান্ত। শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে পান্ত অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। ১১৬ বলের এই ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও ২টি ছয়। ম্যাচ সেরা পুরস্কার নিতে গিয়েও তিনি জানালেন, ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কথা তিনি মনে রাখবেন আজীবন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দোলাচলে বিসিবি
/এম ই
Leave a reply