প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত ইউরোপ। রোববার (১৭ জুলাই) স্পেন-ক্রোয়েশিয়া ও গ্রিসের নতুন কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
পর্তুগালের জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলো এক সপ্তাহে তীব্র দাবদাহ এবং দাবানলে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫৯ জন। যাদের বেশিরভাগই প্রবীণ। হিটস্ট্রোক এবং পানিশূণ্যতাই মৃত্যুর কারণ এমনটা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দেশটিতে রেকর্ড ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। পুড়ে গেছে ৭৫ হাজার একর বনভূমি। ২০১৭ সালের পর এটিই পর্তুগালে ভয়ংকর দাবানল। সেই বছর প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ।
এদিকে ফ্রান্সের দুর্গত এলাকাগুলো থেকে ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। দেশটির আটলান্টিক উপকূলের ২২টি জেলায় নতুনভাবে উন্নীত করা হয়েছে সতর্কতার মাত্রা ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পর্যটনের জন্য বিখ্যাত গিরোন্দে শহরের। দাবানলে পুড়ছে দেশটির ২৬ হাজার একর এলাকা। সেসব নেভাতে চরম সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা। এমনটা জানিয়েছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্পেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আরও ৩ হাজার দুশো’ বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। এমনটা নিশ্চিত করলো দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। সেখানকার মাইজাস হিলসে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। তাতে হুমকিতে পড়েছে অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মালাগা। আগুন নেভাতে মোতায়েন করা হয়েছে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। ছেটানো হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ।
এটিএম/
Leave a reply