খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার

|

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) ভোর সোয়া ৫টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের দুর্গম সুকুমার কার্বারী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম অদুত ত্রিপুরা ওরফে উত্তম ত্রিপুরা। তিনি একই পাড়ার সুনেল চাকমা ও শান্তি রানী ত্রিপুরার ছেলে।

এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবি পৌঁছায় এবং একজনের মরদেহসহ অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করেন তারা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৩ বিজিবির যামিনী পাড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম জানান, ভোর ৫টা থেকে সোয়া ৫টার মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এমন সংবাদের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা। এ সময় একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি একে ২২ রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ৩১ রাউন্ড গুলির খোসা, ১টি ডেমো রাইফেল, চাঁদা আদায়ের রশিদ, তালিকাসহ হিল উইমেনস ফেডারেশনের একটি ব্যানার পাওয়া যায়। সাংগঠনিক কাগজপত্র ও নিহত ব্যক্তি ইউপিডিএফ মূল দলের বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান বিজিবি অধিনায়ক।

মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী ঘটনার বিষয়ে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

এদিকে, প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, সাংগঠনিক কাজে তাইন্দংয়ের সুকুমার কার্বারীপাড়ায় অবস্থানকারী তাদের কর্মীদের ওপর গুলি ছুড়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তাদের কেউ নিহত হয়নি। একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আছেন বলে জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফ প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা একটি ব্যারাক স্থাপন করে অবস্থান করে আসছে। চাঁদাবাজিসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় আতঙ্কে থাকেন স্থানীয়ারা। অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি স্থানীয়দের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply