গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের মালিকানাধীন ‘আন্তোনভ-টুয়েলভ’ বিমানটির ধ্বংসাবশেষে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক বা সক্রিয় বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করছেন দেশটির সামরিক গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞরা।
সার্বিয়া থেকে সাড়ে ১১ টন অস্ত্র-বিস্ফোরক নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল বিমানটি। পথে জর্ডান-সৌদি ও ভারতে ছিল যাত্রাবিরতি। কিন্তু মধ্য আকাশেই ঘটে জোরালো বিস্ফোরণ। সামরিক গোয়েন্দারা এখন ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তল্লাশি করছেন ব্ল্যাকবক্স। এসব পেলে জানা যাবে দুর্ঘটনার মূল কারণ। পরে ফরেনসিক বিভাগও ভেতরে ঢুকে আরোহীদের মরদেহগুলো সংগ্রহ করে।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় দুটি গ্রামের মধ্যবর্তী ফসলি জমিতে আছড়ে পড়ে কার্গো বিমানটি। পর্যবেক্ষকরা জানান, ভূপাতিত হওয়ার পরও মাটিতে বহুদূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায় বিমানটি।
সার্বিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেবোজসা স্টিফানোভিচ বলেন, রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কার্গো বিমানটি গ্রিস থেকে রওনা হয়। সেটি বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য সাড়ে ১১ টন অস্ত্র-বিস্ফোরক বহন করছিল, যার ক্রেতা ছিল বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ফ্লাইটটি আম্মান-রিয়াদ-আহমেদাবাদ হয়ে ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু পথেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন ৮ আরোহীর সবাই। ‘আন্তোনভ- টুয়েলভ’ ইউক্রেনের মেরিডিয়ান লিমিটেডের বিমান।
/এডব্লিউ
Leave a reply