এবারের ঈদে তিন শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় শীর্ষে মোটরসাইকেল

|

ছবি: সংগৃহীত।

এবার ঈদুল আজহায় শুধু সড়ক পথেই ৩১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৯৮ জন। নৌ ও রেলপথ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৪০। গত সাত বছরের ঈদুল আজহার হিসেবে যা সর্বোচ্চ। এমন তথ্যই জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত ১৫ দিনে এই বাহনে চড়ে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন আর আহত ৬৮। তাই মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব তথ্য। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবার ঈদে রাজধানী ছাড়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। কম সময়ে অতিরিক্ত মানুষের চাপের কারণে শুরুর দিন থেকেই যাত্রীদের সঙ্গী ছিল দুর্ভোগ। যানজটের কারণে ৫ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে ২৫ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগার উদাহরণ রয়েছে। সড়কের পাশাপাশি রেলপথেও ছিল শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি।

শুধু দুর্ভোগ নয়, ৩ থেকে ১৭ জুলাই এই ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ছিল এক আতঙ্কের নাম। সড়ক, রেল ও নৌ পথে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫৪টি। নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার পরও এবার ঈদে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। ১৫ দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন।

এ নিয়ে বুুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সবগুলোর দিকে হয়তো নজর দেয়া যাবে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু দিক যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে কিছু দুর্ঘটনা আমরা বেশি পরিমাণে কমাতে পারবো। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দেশেই মহাসড়কে বিশেষ করে এক্সপ্রেস ওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। এভাবেই তারা দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে।

তবে সবকিছুু ছাপিয়ে উঠে আসে বাস মালিকদের নৈরাজ্যের বিষয়টি। মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫০০ টাকার ভাড়া ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেয়ার বেপরোয়া ঘটনাও ঘটেছে বলে জানানো হয়। এ নিয়ে শ্রোতা আহ্বায়ক ড.হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারের ক্ষমতা আছে। সরকার যদি যাত্রী কল্যাণ ও পরিবহন খাতে সুষ্ঠু বিস্তার এবং সার্বিকভাবে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি উন্নত করতে চায়, তাহলে এই গোষ্ঠী স্বার্থকে তার রাজনৈতিক আনুকূল্যের জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। তারাই এসব রাজনৈতিক আনুকূল্যতা পাচ্ছে, তাইেএ সমস্যাগুলোকে জিইয়ে রেখেছে।

মহাসড়কের পাশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে ঈদ যাত্রায় সড়ক পথে দুর্ভোগ কমানো সম্ভব নয় জানান গবেষকরা।একই সাথে ছোট, বড় সকল সড়ককে রোড ডিভাইডার অথবা রোড সাইনের আওতায় আনার প্রস্তাবও করা হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply