ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা থাকলে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের আকার ছোট করতে পারেন। তবে এজন্য সরকারকে বাধ্য করতে পারে না ইসি। তৃতীয় দিনের সংলাপে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, কয়েকবারের সেনা শাসনে পিছিয়ে গেছে দেশ। কমিশন আর তা চায় না।
রাজনৈতিক দলের সংলাপের তৃতীয় দিনের শুরুতে আমন্ত্রিত ছিল কল্যাণ পার্টি। তবে কমিশনের ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ দলটি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর বারোটায় কমিশনে আসে ইসলামী ঐক্যজোট। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটের আগে ও পরে সেনা মোতায়েনের পরামর্শ তাদের। পরে পূর্বনির্ধারিত সময়ে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ২০টা দল অংশগ্রহণ করলো না। বাকিরা করলো। যারা নির্বাচনে অংশ নিলো তারা সরকারের দালাল এবং যারা অংশ নিলো না তারা আপোষহীন। এমনটিই হয়তো মানুষ বলবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। সুতরাং এ বিষয়ে প্রথমে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে বলে ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, এই নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখানে কোন দল আসলো, কোন দল অংশ নিলো তা বিবেচ্য নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আয়োজনে ত্রুটি দুর করতে চায় কমিশন। তাই সকলের পরামর্শ নিচ্ছে ইসি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছে যে, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে না। আমরা সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো, আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবো যে আমাদের কিছু পরামর্শ দেবেন। কয়েকবার কিন্তু আমরা মার্শাল ল’র ধাক্কায় পড়েছিলাম। এতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একধাপ পিছিয়ে যায়। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটা দীর্ঘ আয়ু পেলে টেকসই ও স্থায়ী হয়ে যায়।
নির্বাচনকালীন সরকার যেমনই হোক নিজেদের সাংবিধানিক ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিজ্ঞা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সরকার চাইলে নির্বাচনকালীন ক্যাবিনেটের আকার সীমিত করতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে ইসি তাদের বাধ্য করতে পারে না। আপনারা যদি দাবিগুলো চালিয়ে চান তাহলে হয়তো এটি বাস্তবায়িত হতে পারে।
তলোয়ার, রাইফেলের বিষয়টি কৌতুক করে বলা হয়েছিল বলে জানান সিইসি। বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার মর্যাদাকে একেবারেই ক্ষুণ্ণ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হতাশার সুরে সিইসি বললেন, আজ যদি বিদায় নিতে পারতাম!
/এম ই
Leave a reply