রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার: বাণিজ্যমন্ত্রী

|

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে বড় অংকের রফতানি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; পণ্য এবং সেবা মিলিয়ে যার আকার ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, একক পণ্যে নির্ভরতা ঠিক না। তবে তৈরি পোশাকের বাজার হারাবে না বাংলাদেশ। বিদ্যুতের লোডশেডিং শিল্প উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করবে না বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

দেশের রফতানি বাণিজ্যের মূল চালিকা শক্তি তৈরি পোষাক। কারণ, মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি এই খাতের অবদান। সেই গার্মেন্টস পণ্যে ভর করেই নির্ধারিত হলো চলতি অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্য; যার পরিমাণ ৬৭ বিলিয়ন ডলার। গেল অর্থবছরের প্রকৃত আয়ের চেয়ে ১০ ভাগের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে নির্ধারণ করা হয় এই লক্ষ্য। বৈশ্বিক সংকটকে মাথায় রেখেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা ৬৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এখন পুরো বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য বলি, সবার জন্যই অবস্থা কম-বেশি শঙ্কাজনক। আমাদের তুলনায় তাদের বিপদ আরও বেশি। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে; নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রভাব পড়তে পারে। তবু আমাদের সক্ষমতা ও প্রচেষ্টা অনুসারে আমাদের শ্রমিক, উদ্যোক্তারা আশাবাদী, এই প্রতিকূলতা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

গেল অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয় পণ্য রফতানি। ওই বছর ৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। প্রশ্ন ছিল, একক পণ্যে নির্ভরতা ভবিষ্যতে কতোটা ঝুঁকি তৈরি করবে। সেই সাথে, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চামড়াখাতকে এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না কেন? এক্ষেত্রে দায় কার? জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। গার্মেন্টস সেক্টরের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কারণ, আমরা ২০০৮ সালে শুনেছি আমাদের আরএমজি সেক্টরের অবস্থা খারাপ হবে, কোটা চলে গেলেও খারাপ হবে। কিন্তু সবার মুখে চুনকালি মেখে আমরা কিন্তু চ্যাম্পিয়নের দিকেই এগোচ্ছি। আপনারা জানেন, আমাদের কয়েকটি লেদার তৈরির কারখানা এখনও বিশ্বমানের। আমি আপনাদের সাথে একমত যে, চামড়াখাত এখনও আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে, আমরা চেষ্টা করছি। আগামীতে হয়তো এই খাত আরও উন্নতি করবে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপাতত কয়েকদিন পরপর যেমন, ১৫ দিন পর পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে। আমি মনে করি না, উৎপাদনে এর কোনো প্রভাব পড়বে।

করোনার পর কমেছে চীন নির্ভরতা। এক্ষেত্রে বেড়েছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা। তবে, বিশ্ব বাণিজ্যকে গভীর সংকটে ফেলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply