ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দাবদাহ অগ্রসর হচ্ছে পূর্বাঞ্চলের দিকে। পোল্যান্ড, ইতালি ও স্লোভেনিয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে দেশগুলোর আবহাওয়া দফতর। প্রচণ্ড গরমে ইউরোপজুড়ে এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিনই ছাড়াচ্ছে তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড। পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিকের লক্ষণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। জলবায়ু পরিবর্তনকে বৈরী এ আবহাওয়ার জন্য দায়ী করছেন তারা। কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ তাদের।
৮ দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গরম দিন ছিল গতকাল, বৃহস্পতিবার। এদিন ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। প্রখর তাপে ট্রেনের সিগন্যাল লাইট গলে পড়তে দেখা গেছে দেশটিতে।
দাবদাহে এখনও হাঁসফাঁস করছে স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও গ্রিসের বাসিন্দারা। স্পেনে সর্বোচ্চ মাত্রার ঝুঁকির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে দেশটিতে।
ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তাপমাত্রা ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে পূর্বাঞ্চলের দিকে। সাধারণ মানুষ বলছেন এর আগে এমন গরম পড়তে কখনও দেখেননি তারা। ঘর থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারছেন না তারা।
বৈরী আবহাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। গ্লোবাল ফায়ার মনিটরিংয়ের পরিচালক জোহান গোল্ডাম বলছেন, ভাবার সময় এসেছে চারপাশ কেন এত দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চাশ বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। দাবানল, দাবদাহে বিপর্যস্ত পরিবেশ। এর অন্যতম কারণ হিসেবে নগরায়নকে দায়ী করছেন তিনি। কার্বন নিঃসরণের অন্যতম কারণই এটা। কার্বণ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বিপর্যয় আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তার।
বিশ্ব আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা, ডব্লিউএমও বলছে, ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে দাবদাহ। প্রাণঘাতি হওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনেও এর ভয়াবহ প্রভাবের শঙ্কাও তাদের।
/এডব্লিউ
Leave a reply