চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত আরও এক আসামি গ্রেফতার। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকেই র্যাব সাইফুল নামে এই আসামিকে গ্রেফতার করে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রীতিলতা হলের পাশে এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এর আগে এ ঘটনায় মূল হোতা আজিমসহ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত রাতে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত চারজনই ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আজিম ও বাবু ২ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মূলহোতা আজিম। তিনি ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বাবু। বাকি ২ জন বহিরাগত। তারা হলেন শাওন ও মাসুদ। দুজনই হাটহাজারী কলেজের ছাত্র। ধরা পড়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীর সাথে জড়িত বলেও জানিয়েছে র্যাব। রাউজান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে দুটি মোটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার পথে এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে মারধর এবং ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রুবেলের দাবি, তিনি ওই ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা নয়, বরং সহযোগিতা করেছেন। ইতোমধ্যে রুবেলকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply