‘বিক্রম’ এর সাফল্যের রহস্য

|

বিক্রমের মূল চার চরিত্র।

তামিল সিনেমা ‘বিক্রম’ মুক্তির পর দারুণ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে দর্শক-সমালোচকদের থেকে। তারকাবহুল এ সিনেমা বক্স অফিসে রেকর্ড সমান আয়ও করেছে এরইমধ্যে। তবে একটি সিনেমা সফল হওয়ার পেছেনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। 

তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসান অভিনীত ‘বিক্রম’ সিনেমাটি চলতি বছরের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ‘বাহুবলীঃ দ্য কনক্লুশন’ সিনেমাকে পেছনে ফেলে তামিলের সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা এখন ‘বিক্রম’। শুধুমাত্র তামিনাড়ুতেই ২০০ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে বিক্রম। 

গত ৩ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘বিক্রম’ মুক্তির ষষ্ঠ সপ্তাহ পর্যন্ত বক্স অফিসে দুর্দান্ত আয় ধরে রেখেছে। সিনেমার সফলতার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে, প্রযোজক এবং প্রধান তারকা হিসেবে সিনেমাটির প্রচারণার জন্য কমল হাসান একাধিক জায়গা ভ্রমণ করেছেন। চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, কোচি, মুম্বাই, দিল্লী এবং মালয়শিয়া যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কমলের এমন প্রচারণা এ সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে বহুগুণে।

এছাড়া প্রতিটি চরিত্রে উপযুক্ত তারকা নির্বাচনের মাধ্যমে ‘বিক্রম’ সিনেমাটিকে দর্শকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন নির্মাতা লোকেশ কানাগরাজ। কমল হাসান ছাড়াও সিনেমাটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয় সেতুপতি এবং ফাহাদ ফাসিল। আর শেষের দিকে তামিলের আরেক সুপারস্টার সুরিয়ার উপস্থিতি সিনেমাটিকে নিয়ে গেছে অন্য এক পর্যায়ে।

এদিকে, বক্স অফিসে সিনেমাটি ভালো ব্যবসা করায় কমল হাসান এই সফলতা সিনেমাটির প্রতিটি সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করেছেন। নির্মাতা লোকেশকে উপহার দেন একটি বিলাসবহুল গাড়ি। এছাড়াও সিনেমার সহকারী পরিচালকদেরও সুপারবাইক উপহার দিয়েছেন কমল হাসান।

শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতেই নয়, ‘বিক্রম’ সিনেমাটি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে অন্যান্য জায়গায়ও। মুক্তির কিছুদিনের মধ্যেই সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমাটি দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে। তামিলনাড়ু ছাড়াও সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস তালিকায় শীর্ষস্থান অবস্থান করতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বিক্রম বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৪০০ কোটির বেশি।

অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমাতে বেশ কিছু আবেগ এবং চেতনার উপাদান রয়েছে। নির্মাতা খুবই সফলভাবে সিনেমাটিতে অ্যাকশনের সাথে পারিবারিক চেতনাকে মিশ্রিত করেছেন। যদিও কমল হাসান সাধারণত ক্ল্যাসিক সিনেমা বেশী করে থাকেন সেখানে বাণিজ্যিক উপাদানের  গ্রহণযোগ্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

একটি সিনেমাকে বক্স অফিসে সফল হতে হলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এর পেছনে প্রথমেই হাত থাকে একজন পরিচালকের। তামিল সিনেমায় ‘বিক্রম’ এখন তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। 

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply