বিশ্ববাজারে দ্রব্যমূল্য কমলেও দেশে এর প্রভাব কতটুকু?

|

বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে, তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব পড়ে দেশের মোকামে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় অনেকদিন। গত এক মাসের ব্যবধানে গত জুনে বিশ্ববাজারে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম কমেছে ২১৬ ডলার, সয়াবিন তেল ২১১ ডলার, চালের দাম ২০ ডলার এবং গমের দাম কমেছে ৬৩ ডলার। তবে দেশে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমানো হলেও ভোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের জোরালো তদারকির তাগিদ দিচ্ছেন ক্রেতা-ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রবণতা থাকলেও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অনেক আমদানিকারক সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করছে না। তাদের দাবি, তেল যদি আমদানি করে তা বাজারে আসতে কমপক্ষে ২ মাস সময় লাগবে। তা না করে দুইবার দাম বাড়িয়েছে তেল কোম্পানি। ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানিকারক এবং উৎপাদকদের সরকার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বাজার সবসময়ই স্থিতিশীল থাকবে।

এদিকে, ডলারের উচ্চ মূল্য এলসি মার্জিন ঋণ নিয়ে ভোগান্তিতে আছেন আমদানিকারকরাও। সরকারের প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সুবিধা পেলে আমদানি করা পণ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। এ নিয়ে আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের ঋণের ব্যবস্থা করা বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি সহজ করে দিলে এই সঙ্কট কাটবে। পাশাপাশি বাংলাদেশও বাইরে থেকে পণ্য সহজে আনতে পারলে এবং স্টক করতে পারলে আমাদেরও স্টকের সঙ্কট কমবে এবং বাজারে পণ্যের দামও কমবে।

আমদানিকরা নিত্যপণ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পক্ষে কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর জন্যে নীতি সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাইরের দেশে যখন খাদ্য সরবরাহ ও পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক হবে, তার প্রভাবও বাংলাদেশে পড়বে। তাই পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আমরা কীভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি, তার জন্য প্রচেষ্টা নিতে হবে।

গত জুন মাসে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে ওঠে। যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন বলছে, জুনে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply