কিছুতেই থামছে না চাল নিয়ে চালবাজি। খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নানামুখী উদ্যোগেও স্থিতিশীল হচ্ছে না চালের বাজার। বিভিন্ন সংস্থার তদারকিতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না দাম। এ অবস্থায় শুল্ক কমিয়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপরও সাড়া মিলছে না চাল আমদানিতে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত দুই টাকা। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও স্বস্তি নেই ভোক্তাদের। বাজার কারসাজিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন একে অপরকে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি কম বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। এজন্য শুল্কমুক্ত চাল আমদানির দাবিও তাদের।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে অন্তত দুই টাকা। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় হিমশিম অবস্থা ভোক্তাদের। খুচরা বাজারে মোটাগুটি স্বর্ণার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়। পাইজাম ও বিআর-২৮–এর কেজি মিলছে ৫২-৫৮ টাকায়। মানভেদে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ আর নাজিরশাইলের দাম পড়ছে ৭৫-৮৫ টাকা কেজি। খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির তীর ছুড়ে দিচ্ছেন পাইকারদের দিকে।
ভারত থেকে পুরোদমে চাল আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে দাম কমবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। চাল আমদানি না হলে মিলাররাও দাম বাড়ানোর সুযোগ নেবে বলে শঙ্কা তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে চাল আমদানিতে। এছাড়া দেশি ও আমদানি করা চালের দাম এক হওয়ায় আমদানিকারকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গেল সপ্তাহে হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছে ৯০৩ মেট্রিক টন।
/এডব্লিউ
Leave a reply