ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সার্ভারের পার্সওয়াড ভুলে গেছেন খোদ প্রতিষ্ঠানের সিইও মোহাম্মদ রাসেল। ফলে কোনোভাবেই খোলা সম্ভব হচ্ছে না সার্ভারটি। এ কারণে গ্রাহকদের পাওনা এবং সম্পদের তথ্যও পাচ্ছে না অডিট ফার্ম। এদিকে নানা জটিলতায় এখন অর্পিত দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান হাইকোর্ট গঠিত বোর্ড প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
চটকদার বিজ্ঞাপন এবং নানান প্রলোভন দিয়ে কম সময়ে আলোচনায় এসেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। পণ্য কিনতে এক সময় হুমড়ি খেয়ে পড়তেন লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি সেই কার্যক্রম। লেনদেনে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে তার মধ্যেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। ব্যাংকে জমা এই টাকার প্রায় সবই তুলে নিয়েছে ইভ্যালি। পরে সার্বিক নিরীক্ষায় বোর্ড গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট গঠিত ইভ্যালি বোর্ড প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, ইভ্যালির সার্ভারটি হলো অ্যামাজনের। এর আগে আমরা বহুবার অ্যামাজনের কাছে দেনদরবার করেছি, সিঙ্গাপুর অফিসের সাথেও যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের একটিই কথা, পাসওয়ার্ড না থাকলে তারা খুলতেই পারবে না। পরে ইভ্যালির সিইওর রাসেল সাহেবের কাছে যাওয়া হলে তিনি জানান, পাসওয়ার্ড তার মনে নেই। আর পাসওয়ার্ড তিনি যে ডায়েরিতে লিখেছিলেন, সেটি এখন কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না।
এদিকে, কয়েক দিনের মধ্যেই ইভ্যালির নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তারপর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চায় ইভ্যালি বোর্ডের সব সদস্য। বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সবাইকে সুখি দেখেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাই। ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকারের দায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলকে সতর্ক করা উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায় অবশ্যই আছে।
এসজেড/
Leave a reply