গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ও অনিয়মের দায়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এখনও সম্পূর্ণ উদ্ধার হয়নি গ্রাহকদের অর্থ ও এ সংক্রান্ত তথ্য। এরই মধ্যে বিনিয়োগকারী পাওয়া গেছে উল্লেখ করে ফের কার্যক্রম চালু করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী।
চটকদার বিজ্ঞাপন এবং নানান প্রলোভন দিয়ে কম সময়ে আলোচনায় এসেছিল ইভ্যালি। তবে লেনদেনে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয় সরকার। বিষয়টি তদন্তে হাইকোর্ট ইভ্যালি বোর্ড গঠন করেন। অডিট টিমের অনুসন্ধানে ইভ্যালির সম্পদ ও ব্যাংকে থাকা অর্থের তথ্য পাওয়া গেলেও এগুলো গ্রাহকের বিশাল চাহিদার বিপরীতে খুবই সামান্য। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে চায় না বোর্ড।
এরই মধ্যে বিনিয়োগকারী পাওয়া গেছে মর্মে হাইকোর্টের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। এ বিষয়ে হাইকোর্ট গঠিত ইভ্যালি বোর্ড প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, রাসেল এবং তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি আবেদন এসেছে, তারা নাকি আবার বিনিয়োগকারী আনতে পারবে। যদি সত্যি পারেন, তাহলে তো সুখবর। ইনভেস্টর আনলে কোম্পানি চলবে।
বিচারপতি আরও বলেন, অডিটারদের হিসেব অনুযায়ী, দুটি গোডাউনে ৩৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। গেটওয়ে ব্যাংকসমূহেও ২৫ কোটি টাকার ক্যাশ রয়েছে। কিন্তু ক্যাশগুলো কার?
এদিকে, প্রতিষ্ঠানের সিইও মোহাম্মদ রাসেল ইভ্যালির সার্ভারের পার্সওয়াড ভুলে গেছেন। ফলে কোনোভাবেই তা খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে গ্রাহকদের পাওনা এবং সম্পদের তথ্যও পাচ্ছে না অডিট ফার্ম।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, ইভ্যালির সার্ভারটি হলো অ্যামাজনের। এর আগে আমরা বহুবার অ্যামাজনের কাছে দেনদরবার করেছি, সিঙ্গাপুর অফিসের সাথেও যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের একটিই কথা, পাসওয়ার্ড না থাকলে তারা খুলতেই পারবে না। পরে ইভ্যালির সিইওর রাসেল সাহেবের কাছে যাওয়া হলে তিনি জানান, পাসওয়ার্ড তার মনে নেই। আর পাসওয়ার্ড তিনি যে ডায়েরিতে লিখেছিলেন, সেটি এখন কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না।
এসজেড/
Leave a reply