শুকিয়ে গেছে দানিয়ুব, ভেসে উঠলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জাহাজ

|

দানিউবে ভেসে ওঠা জার্মান জাহাজ।

চলমান তীব্র খরায় শুকিয়ে গেছে ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী দানিউবের পানি। এতে সার্বিয়ার বন্দরনগরী প্রাহোভোর কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ভেসে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত রেড আর্মির আক্রমণে নাৎসি সেনারা পিছু হটার সময় জার্মান নৌবহরের বিস্ফোরক বোঝাই এ জাহাজগুলো দানিউবে ডুবে গিয়েছিল। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপে এ বছরের খরায় সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিউব নদীতে ২০টিরও বেশি হাল্ক উন্মোচিত হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলিতে এখনও অনেক গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক রয়েছে।

জার্মান জাহাজ বিশেষজ্ঞ ভেলিমির ট্রাজিলোভি বলেন, জার্মান ফ্লোটিলাগুলো একটি বড় পরিবেশগত বিপর্যয় রেখে গেছে যা প্রাহোভোর মানুষদের জন্য ক্রমাগত হুমকি হয়ে উঠছে। ঝুঁকিতে আছেন স্থানীয় মৎসজীবীরাও।

সম্প্রতি সার্বিয়া কর্তৃপক্ষ দানিউবে নেভিগেশন লেন খোলা রাখতে ড্রেজিং শুরু করেছে। গত মার্চে সার্বিয়ান সরকার এসব যুদ্ধ জাহাজ উদ্ধার ও বিস্ফোরক অপসারণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করেছিল। যার খরচ ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলে সৃষ্ট দানিউব ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ভলগার পরই এর অবস্থান। এটি ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম প্রধান পরিবহন পথও। ইউরোপের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে কেবল দানিউবই একমাত্র নদী যা পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। দানিউবের উপত্যকার আয়তন প্রায় ৭ লাখ ৭৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এ উপত্যকা জার্মানি, অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, স্লোভেনিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া হয়ে ইউক্রেন পর্যন্ত বিস্তৃত। দানিউব নদী সরাসরি ইউরোপের প্রায় ২ কোটি মানুষের পানীয় জলের উৎস।

উল্লেখ্য, দানিউব সমগ্র ইউরোপের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য পথ। এ নদী জলবিদ্যুতেরও একটি বড় উৎস।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply