চীনে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা

|

করোনা মোকাবেলায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিলো চীন সরকার। তার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাত। দেশটিতে ক্রমাগত বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। ব্যয় কমাতে অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। ফলে চাকরির বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। তরুণদের মধ্যে অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন না। দ্য টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, কেউ কেউ চাকরি পেলেও বেতন দেয়া হচ্ছে কম।

একের পর এক ইন্টারভিউ দিয়েও মিলছে না চাকরি নামের সোনার হরিণ। লেখাপড়া শেষ করে চাকরির বাজারে এসে যেনো অকুল পাথারে পড়েছেন চীনের লিউ কিয়ান নামের এক তরুণী। ওই তরুণী বলেন, এখন চাকরির বাজারে এসে মনে হচ্ছে, কেউ আমার স্বপ্নগুলোকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলেছে।

হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন তার মতো চীনের অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণী। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা।

করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন সরকার। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও এর প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফ্যাক্টরি-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাত। ছাটাইয়ের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে নতুন নিয়োগ। কমানো হয়েছে বেতন-ভাতাও। তরুণ-তরুণীরা বলছেন, দুয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তবে এখন প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের ছাঁটাই করছে।

দেশটির অর্থনীতিবীদরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে এ সংকট আরও বাড়তে পারে। চীনের ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ঝাং চেনগাং বলছেন, চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা থাকবেই। ভবিষ্যতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো আমরা। সামনে শ্রমবাজারের অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে। এই অনিশ্চিত শ্রমবাজারের সঙ্গেই আমাদের শিক্ষার্থীদের মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে।

চীনের সরকারি হিসাব বলছে, বর্তমানে দেশটিতে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বেকার।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply