অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস দেবে জাহাজ, লাভা উদগীরণের আগেই করবে শনাক্ত

|

ছবি: সংগৃহীত

সাগর তলদেশের আগ্নেয়গিরির পূর্বাভাস দেবে রোবটিক জাহাজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে লাভা উদগীরণের আগেই তা নির্ণয় করবে জাহাজটি। ফলে কমে আসবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি। ১০ হাজার মাইল দূরে বসেই নৌযানটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। খবর ইয়াহু নিউজের।

প্রচলিত ইয়ট কিংবা সাধারণ নৌযান মনে হলেও আদতে এটি রিমোর্ট কন্ট্রোল চালিত বিশেষ জাহাজ। দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার জলসীমায় ভেসে বেড়ালেও এটি পরিচালনা করা হচ্ছে ১০ হাজার মাইল দূরে ব্রিটেন থেকে। রোবটিক এই জাহাজটি মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে আগ্নেয়গিরি নিয়ে গবেষণায়। সংগ্রহ করা হচ্ছে অগ্নুৎপাত সম্পর্কিত নানা তথ্য-উপাত্ত।

এ বিষয়ে সি-কিট ইন্টারন্যাশনালের সিইও বেন সিম্পসন বলেন, পুরো জাহাজটি আসলে একটি রোবট। আমরা দূর থেকে একে নিয়ন্ত্রণ করি। সাগর তলদেশের আগ্নেয়গিরি নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে এর সহায়তায়। চালকবিহীন হওয়ায় নেই জীবনের কোনো ঝুঁকি।

বেন সিম্পসন আরও বলেন, বিশেষ রাডার, সিসিটিভি, থার্মাল ইমেজিংয়ের সাহায্যে কাজ করে এই রোবট জাহাজটি। এর যন্ত্রগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। এটি খুব সহজেই লাভার প্রবাহ নির্ণয় করতে পারে। ফলে আগ্নেয়গিরিতে কখন লাভার উদ্গীরণ হবে সেটির পূর্বাভাসও জানা যায়।

আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষণার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে নৌযানটিতে। রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রাডার এবং স্ক্যানার। ফলে তথ্য এবং ছবি দ্রুত পাঠানো যায় মূল সার্ভারে। ফলে হাজার মাইল দূরে বসেই সব পর্যবেক্ষণ করা যায়। গবেষকরা বলছেন, এই রোবট জাহাজের মাধ্যমে লাভা উদগীরণের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এতে করে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও দাবি তাদের।

প্রায় ৪০ ফুট লম্বা এই রোবটিক জাহাজটি নির্মাণ এবং চালনা করছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সি-কিট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply