রাজধানীতে বেড়েছে চুরি, দ্রব্যমূল্য ও অশান্ত পরিস্থিতিকে দায়ী বলছে পুলিশ

|

রাজধানীতে হঠাৎ করেই বাড়ছে চুরি। গেলো দুই মাসের অপরাধের সংখ্যা পর্যালোচনা করে এজন্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকেই অন্যতম কারণ বলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। চুরির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িও। এছাড়া রাস্তাঘাটেও কমছে না সংঘবদ্ধ চুরি। হঠাৎ চুরি বেড়ে যাওয়ায় থানাগুলোকে চোর ধরতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মোজাম্মেল হকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি হয়। সাবেক অতিরিক্ত আইজি মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মিতালী হোসেন জানান, গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে লকার ভেঙে ৪৫ ভরি স্বর্ণ ও দেশি-বিদেশি টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।

চলতি মাসের ১৫ তারিখ রাজধানীর উত্তরায় হাইওয়ে পুলিশের এসপি মোস্তাফিজুর রহমানের বাসায় চুরি হয়। পরে অবশ্য জানা যায়, বাসার বাবুর্চি সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে। ১৮ তারিখে প্রগতি স্মরণির কুড়িল মিয়া বাড়ি এলাকায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসহাক মিয়ার বাড়িতে দিনে দুপুরে ঘটে চুরির ঘটনা। ভবনের নিচে ভাড়াটিয়ার দুটি মোটর সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয় চোরচক্র। সিসি ক্যামেরায় চোরের চেহারা ধরা পড়লেও তারা আটক হয়নি এখনও।

রাজধানীতে হরহামেশাই ঘটছে এমন চুরির ঘটনা। সিসি ক্যামেরা লাগিয়েও চোরের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার বলছেন, গত জুনে বাসাবাড়িতে চুরির মামলা হয়েছে ২৭টি, আর সেখানে জুলাই মাসে মামলা হয়েছে ৭০টি। ঘরের বাইরে, রাস্তা বা দোকানে চুরির মামলা জুনে ছিল ১৩৫টি। আর জুলাই মাসে মামলা বেড়ে দাঁড়ায় ১২১ এ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখন একটা অশান্ত পরিস্থিতি চলছে। দ্রব্যমূল্যসহ অন্যান্য কারণে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ কারণে চুরি জাতীয় অপরাধ বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।

সম্প্রতি থানাগুলোকে চুরি ঠেকাতে এবং চোর ধরতে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলেও জানালেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply