টেন্ডার না দিলে পিস্তল ঠেকিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হত্যার হুমকি পাওয়া প্রকৌশলীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক কাটেনি এখনও। তাই মামলা দায়েরের পরও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না এলজিইডির দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন। অন্যদিকে রাজশাহীতে সাম্প্রতিক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ। তবে পুলিশ বলছে, তারা গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে।
গত ১৮ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর সপুরা ছয়ঘাটি এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন আরেক সরকারি কর্মকর্তা। এর কিছু সময় পর সেখানে হাজির হন ঠিকাদার ওয়াকিল ইসলামসহ দুজন। পরে আসেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি ও মারপিট।
ঘটনার দুদিন পর পিস্তল ঠেকিয়ে টেন্ডার না পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগে আনোয়ার হোসেন, ঠিকাদার ওয়াকিল হোসেন ছাড়াও ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন ওই প্রকৌশলী। ওইদিনই পুলিশ ওয়াকিলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
মামলার এজাহারে ও ক্যামেরায় কথা না বলার শর্তে প্রকৌশলী জানিয়েছেন, একটি প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি দুর্গাপুর উপজেলায় ২১ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার হয়েছে। সেই কাজ নেয়ার জন্যই আনোয়ার দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ, আইইবি। এ ঘটনায় দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সংগঠনের নেতারা। আর রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলছেন, সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন।
বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, এরই মধ্যে আনোয়ার উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply