শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কতটা ভালো ও কতটা খারাপ, ম্যাচের আগে একে অপরের দিকে তীর্যক বাক্যবাণের তীর ছুঁড়ছিল দুই দল। আরও যে বিষয়টি ছিল আলোচনা তা হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি খেলায় আক্রমণাত্মক মানসিকতা ও ইতিবাচক ‘ইন্টেন্টে’র উপস্থিতি আছে নাকি নেই। এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার ম্যাচের প্রথম ধাপ শেষে দুই প্রশ্নেরই যেন অনেকটাই জবাব পাওয়া গেল। টাইগার ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সামনে যেন বিশ্বমানের মনে হলো লঙ্কান কোনো বোলারকেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের মাঝে দেখা গেছে পরিবর্তন। একাদশ থেকে শুরু করে মানসিকতা, সব জায়গায়ই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের দেখা পাওয়া গেছে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ম্যাচে। লম্বা সময় পরে দলে এসে ওপেনার বনে যাওয়া সাব্বির আহমেদ মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই স্কুপে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জানান দিলেন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেই মাঠে নেমেছে আজ বাংলাদেশ। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাব্বির, কিন্তু যে সুর নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ওভারে, তা কেটে যায়নি ২০ ওভারের পুরো যাত্রায়। মেহেদী হাসান মিরাজ এরপর যেন অর্কেস্ট্রার কনসার্ট মাস্টারের দায়িত্বই নিয়ে নেন। প্রতি বলকেই সীমানা ছাড়া করার প্রতিজ্ঞা নিয়েই হয়তো নেমেছিলেন তিনি। খুব বেশি সফল না হলেও সাকিব আল হাসানের মাঝেও ছিল সেই মানসিকতা।
তবে মিরাজ ও মুশফিকের জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপেও পড়েছিল সাকিব বাহিনী। তবে মারকাটারি ক্রিকেটের মন্ত্র জপে নেমেছিল যে টাইগাররা! আফিফ ব্যাট করলেন ১৭৭ স্ট্রাইক রেটে! চারটি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিতে ২২ বলে ৩৯ রান করে টাইমিংয়ের গড়বড়ে সাজঘরে ফিরতে হয় এই হার্ড হিটারকে। অ্যাঙ্কর রোলের সাথে প্রয়োজনীয় সময়ে বাউন্ডারি বের করেছেন মাহমুদউল্লাহও।
বলতে হবে মোসাদ্দেকের কথাও। ইনফর্ম এই ব্যাটার শেষে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ক্যামিও। ২৬৬ স্ট্রাইক রেটে এই অলরাউন্ডারের ৯ বলে ২৪ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের লং অফ দিয়ে হাঁকানো বিশাল ছয়ও সাক্ষ্য দেয়, এই ম্যাচে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার আগেই ভয়কে জয় করেছে সাকিব বাহিনী। আর ভয়ডরহীন বাংলাদেশের সামনে লঙ্কান কোনো বোলারকেই অন্তত বিশ্বমানের মনে হয়নি। খালেদ মাহমুদ সুজন মুচকি হেসেছিলেন কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মিরাজ-আফিফ ঝড়ের পর মোসাদ্দেকের ক্যামিও, বিশাল সংগ্রহ বাংলাদেশের
/এম ই
Leave a reply