বাস ভাড়া নির্ধারণে নানা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখান পরিবহন মালিকরা

|

বাস ভাড়া নির্ধারণে মালিকরা যে ব্যয় দেখান, তার বেশিভাগই আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি। তাতেই যাত্রী ভোগান্তি বা প্রতারণার শেষ নয়। একবার বেশি ব্যয় দেখিয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ; তারপর আবার নির্ধারিত ভাড়ার চাইতেও বেশি আদায়। ওয়েবিল কিংবা সিটিং সার্ভিস, সর্বনিম্ন ভাড়া অথবা গ্যাস নাকি ডিজেলে চলে; এমন নানা খাতে যাত্রীদের পকেট কাটছে পরিবহন মালিকরা।

১০ বছর আয়ুষ্কাল দেখানো হলেও আদতে ১৫ বছর বয়সী লক্করঝক্কর বাসও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীতে। এসব বাসে চালক-হেলপারসহ তিনজন কাজ করে বলে ভাড়া বাগিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু বাসে দুইজনের বেশি দেখা যায় না কখনও।

পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষ থেকে কখনো অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আসা হয়। যারা এ ভাড়া নির্ধারণ করার কমিটিতে থাকে, তাদের যদি এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকে তাহলে ভাড়া নির্ধারণে আসা দাবিগুলো বুঝা সম্ভব নয়।

বাসের সিট পরিবর্তনসহ নানা সংস্কারে প্রায় ২০টি খরচের খাতও আছে; যদিও তার প্রতিফলন দেখা যায় না বাসগুলোতে। যাত্রীরা বলছিলেন, সিট ঠিক থাকে না। গ্লাস ভাঙা থাকে। পরিবহন সেক্টরের কাছে আমরা জিম্মি।

ভাড়া নির্ধারণে যাত্রীদের ঠকিয়ে সড়কেও চলে অরাজকতা। ওয়েবিলের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডা নিত্যদিনের ঘটনা।

ভাড়া নির্ধারণের জনগণের পক্ষে বাস মালিকদের সাথে দর কষাকষি করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সেই সংস্থাটি বাস মালিকদের এমন ফাঁকির কথা কতটা জানে?

বিআরটিএ এর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, যে বাসা ভাড়া নির্ধারণ বা সমন্বয় করা হয়, সেটা আমরা যাত্রী সাধারণের কথা বিবেচনা করেই করি। যাতে তাদের পক্ষে যায়।

ওয়েবিলসহ ভাড়া নিয়ে অনিয়ম ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে বিআরটিএ। সংস্থাটি বলছে, জেল-জরিমানায় অনিয়ম কিছুটা কমলেও ঠেকানো যাচ্ছে না নৈরাজ্য। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস মালিকদের সততাও জরুরি বলে মত সংস্থাটির।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply