বাজারে লিটারে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় দুধ কেনেন ব্যাপারিরা অথচ দুগ্ধ সংগ্রহকারী ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান তা বিক্রি করছে দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি দামে। এমন অভিযোগ পাবনা ও সিরাজগঞ্জের গরু খামারিদের। তাদের দাবি, বর্তমানে দুধের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা হাতেগোনা কিছু মধ্যস্বত্বভোগীর জন্য।
দুগ্ধশিল্প পাবনা ও সিরাজগঞ্জে শত বছরের ঐতিহ্য। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে দুগ্ধ খামার আছে প্রায় ২৫ হাজার। বহু গ্রামে বাড়িতে-বাড়িতেও গরু পালন করছেন অনেকে। দুধ উৎপাদনে দেশের বিশাল এক বাণিজ্যকেন্দ্র এই দুই জেলা।
নানা কারণ দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের দাম ধাপে-ধাপে বাড়ছে। অথচ, মাঠপর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। প্রান্তিক পর্যায়ে এখনও বাজারে সেই পুরনো দামেই বিক্রি হচ্ছে দুধ। লিটারে তা ৪০-৪৫, কখনও বা ৫০ টাকায় কিনছেন ব্যাপারিরা। খামারিরা বলছেন, ব্যাপারিরা সেই দুধ সংগ্রহকারী ও প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির কাছে দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি দামে বিক্রি করছে তারা।
এদিকে, দিনদিন বাড়ছে খৈল-ভুষিসহ গবাদি পশুর খাদ্যর দাম। অথচ বাড়ছে না দুধের দাম। এতে আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা। এখন পুরনো এই দুগ্ধশিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply