তিস্তা চুক্তির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের মূল্যায়ন সম্ভব নয়: বিশ্লেষকদের মত

|

প্রায় তিন বছর পর ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর অষ্টমবারের মতো নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক। আলোচনা হবে শীর্ষ কর্তমর্কাদের সাথেও।

শেখ হাসিনা ভারত সফরের প্রসঙ্গ এলেই সবার আগে ওঠে আসে দুই দেশের প্রাপ্তির প্রসঙ্গ। ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো চুক্তি অথবা পাওয়া-না পাওয়ার হিসেবের বাইরে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতে, শুধুমাত্র তিস্তা চুক্তির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

সাবেক কূটনীতিক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব সবসময় থাকবে।

প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ ভারতের কাছে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় যেই আসুক ভারত সরকার তাদের সঙ্গে কথা বলবে।

সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন সংকটে পর্যবসিত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশের সরকার প্রধান হিসেবে ভারত সফর করছেন। যা বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করবে বলেও মত তাদের।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, অর্থনীতিতে যে চাপ সেটাকে মোকেবলা করতে হবে দ্রুত। মহামারি আছে, জ্বালানির সমস্যা আছে। জ্বালানি ছাড়া অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়।

গৌতম লাহিড়ী বলছিলেন, পেয়াজ-গম যাই হোক, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে বলা হয়েছে, নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের। একজন ভারতীয় হিসেবে আমি মনে করি, তিস্তা পানির নায্য হিসাব বাংলাদেশের পাওয়া উচিত।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে জ্বালানি খাতের পাশাপাশি রেল যোগাযোগে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার পথ সুগম হবে বলেও আশা বিশ্লেষকদের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply