বলিউডের বিগ ফ্যাট ওয়েডিংয়ের সাথে যা না হলেই নয়, তা হলো একটা অভাবনীয় সুন্দর জায়গায় হানিমুন। এখন চলছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ট্রেন্ড। এমন সব জায়গায় বিয়ের আসর বসে, যা আসলে অবাক করার মতো। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডেস্টিনেশন হানিমুন না হলে কী চলে! আর এ ব্যপারে পথ দেখাচ্ছে বলিউডই।
প্রথমেই আসে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের কথা। তাকে বলা হয়-প্রেমের ঈশ্বর। বলিউডের আদর্শ স্বামীও বলা হয় তাকে। গৌরী খানের সাথে তার প্রেমের গল্প সবারই জানা। ১৯৯১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শাহরুখ-গৌরি। রোম্যান্স কিংয়ের স্বপ্ন ছিল, হানিমুনে যাবেন প্যারিসে। কিন্তু সে সময় সবে ক্যারিয়ার শুরু শাহরুখের। তাই ইচ্ছে থাকলেও প্যারিস যাওয়ার সামর্থ ছিল না মোটেও। গৌরীকে নিয়ে গিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাদের প্রেমের সৌরভে দার্জিলিংই হয়ে উঠেছিল স্বপ্নের প্যারিস।
একজন বাইশ গজের সম্রাট, অন্যজন বলিউডের প্রিয় মুখ। পতৌদি-শর্মিলার পরে দুই দুনিয়ার এমন মহামিলন বোধহয় মনে পড়ে না। বিরুষ্কা হানিমুনে গিয়েছিলেন ফিনল্যান্ডে। প্রাকৃতিক সম্পদে ঠাসা ফিনল্যান্ড যেমন সুন্দর, তেমনি রোম্যান্টিক। বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চন, মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন ইউরোপে।
কারিনা কাপুর খান এবং সাইফ আলি খান হানিমুনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সুইস আল্পসের গিস্তাদ নামের একটি ছোট্ট গ্রামকে। সেই অঞ্চলের একটি অনবদ্য স্কাই রিসোর্টে ছিলেন তারা। পপ-কুইন ম্যাডোনা থেকে প্রিন্সেস ডায়না, কতো স্বনামধন্য লোকের পা যে পড়েছে সেই গ্রামে, তার ইয়ত্তা নেই।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা শাহিদ কাপুর ও তার স্ত্রী মীরা রাজপুত হানিমুন সেরেছেন লন্ডনে। ২০১৫ সালে বিয়ে করেন তারা। তাদের মধুচন্দ্রিমা সফর স্বপ্নের চেয়ে কম কিছু ছিল না। বলিউডের স্বপ্নসুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত তার হানিমুন সেরেছিলেন হাওয়াইয়ে। ডক্টর শ্রীরাম নেনের সঙ্গে বিয়ের পর সেখানেই যান মাধুরী। রিতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডি’সুজা হানিমুন সারেন বিশাখাপত্তনমে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় হানিমুন ডেস্টিনেশন এটি।
২০১২ সালে সাত পাকে বাধা পড়েন বিদ্যা বালন ও সিদ্ধার্থ রায় কাপুর। মধুচন্দ্রিমা করতে তারা গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ডসে। সুনীল সাগর আর সৈকতের সূর্যাস্ত যাদের পছন্দ, তাদের জন্য পারফেক্ট হানিমুন লোকেশন এটি। শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রা হানিমুন সেরেছেন বাহামাসে। টেনিস তারকা মহেশ ভূপতি ও প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী লারা দত্ত এদিকে হানিমুনের জন্য গিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে স্থানীয় সংস্কৃতি, সব দিকেই দুর্দান্ত এই বালি। তার সঙ্গে উপরি পাওনা দারুণ সব সমুদ্র সৈকত।
আপনারও যদি মধুচন্দ্রিমার জন্য পছন্দ হয় এসব এক্সোটিক লোকেশন, তাহলে বি-টাউনের তারকাদের মতোই আপনিও ঘুরে আসতে পারেন, এমনই সব অপূর্ব জায়গা থেকে। তবে পকেটের কথাটা ভাবতে ভুলবেন না মোটেও।
/এসএইচ
Leave a reply