ব্রিটিশ রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী রানি ২য় এলিজাবেথের মৃত্যুর সাথে সাথেই তার উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজ ক্ষমতা লাভ করেছেন সদ্যপ্রয়াত রানির পুত্র প্রিন্স চার্লস। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হতে হলে তাকে বাস্তবিক ও ঐতিহ্যবাহী কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
রাজা হতে হলে চার্লসকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি ৩য় চার্লস নামে সিংহাসনে আরোহন করবেন নাকি অন্য কোনো নাম গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। যেমন: চার্লসের দাদু রাজা ৬ষ্ঠ জর্জের ফার্স্ট নেম ছিল আলবার্ট। কিন্তু তিনি সিংহাসনে আরোহনের সময় তার মিডল নেম গ্রহণ করেন। চার্লসের ক্ষেত্রে তার চার নাম (চার্লস, ফিলিপ আর্থার, জর্জ) এর যে কোনো একটি গ্রহণ করতে পারেন।
রানির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লন্ডনের সেইন্ট জেমস প্যালেসে অ্যাকসেশন কাউন্সিলের এক সভায় প্রিভি কাউন্সিল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হবে চার্লসকে। ঐতিহ্যগত কারণে এ অনুষ্ঠানে রাজা সাধারণত সশরীরে উপস্থিত থাকেন না। তবে, এর ২৪ ঘন্টা পরে অ্যাকসেশন কাউন্সিলের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তাতে উপস্থিত থাকবেন চার্লস। সেখানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। রাজা হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণের মতো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই আঠারো শতক থেকেই। তবে চার্চ অব স্কটল্যান্ডের সংরক্ষণ বিষয়ে তাকে একটি শপথ নিতে হতে পারে।
এরপর, ট্রাম্পেট বাজিয়ে ও গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চার্লসকে নতুন রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সেইন্ট জেমস প্যালেসের ফ্রেইরি কোর্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এ ঘোষণা দেবেন গার্টার কিং অব আর্মস পদে থাকা একজন কর্মকর্তা। ১৯৫২ সালের পর প্রথমবারের মতো উচ্চারিত হবে ‘গড সেভ দ্য কিং’। এরপর, বাজানো হবে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সঙ্গীত, এ সময়ও গাওয়া হবে ‘গড সেভ দ্য কিং’। নতুন রাজাকে গান স্যালুট দেয়া হবে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সকল জাহাজ, হাইড পার্ক ও টাওয়ার অব লন্ডন থেকে। এরপর, এডিনবার্গ, বেলফাস্ট ও কার্ডিফ থেকে চার্লসকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে করোনেশন। ১৯৫৩ সালের জুন মাসে ২য় এলিজাবেথের পর রাজমুকুট পরতে যাচ্ছেন চার্লস।
/এসএইচ
Leave a reply