আত্মহননের পথ বেছে নেয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করছেন। এরপরই আত্মহত্যার কারণ হিসেবে রয়েছে অভিমান, পারিবারিক প্রত্যাশা বা কলহ, ধর্ষণ, পড়াশোনার চাপ কিংবা সাইবার ক্রাইম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে গত আট মাসের আত্মহত্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন কারণ জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন। এই সময়ে দেশে ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। যাদের অধিকাংশই নারী। আত্মহত্যাকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশরই বয়স ১৩ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
প্রেমিকা প্রতারণা করেছে অভিযোগ তুলে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী নিজেই হাজির চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায়। ভালোবাসার মানুষ ফিরে না আসলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি তার। শিক্ষার্থীদের এমন পাগলাটে ভাবনায় দেশের কোথাও না কোথাও আত্মহত্যার সংবাদ নিত্যদিনের।
উদ্বেগজনহারে বাড়তে থাকা আত্মহত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ৩৬৪ জন আত্মহননের পথ বেছে নেন। গত আট মাসে দেশে ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।সে হিসেবে প্রতি সপ্তাহে ১১ জন তাদের মধ্যে ১৯৪ জনই স্কুলপড়ুয়া। পরিসংখ্যান বলছে, নারী শিক্ষার্থীরা বেশি আত্মহত্যা করছেন। এদের ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রেমের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে নারী শিক্ষার্থীরা বেশি আত্মহত্যা করছেন। প্রেমের কারণে ঘটনা বেশি। যাদের বয়স ১৩ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে নানামুখি চাপে বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা। আছে সুস্থ বিনোদনের অভাবও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করছে না। সাংস্কৃতিকভাবে একটা বড় ধরনের শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ক্লাব ছিল, এছাড়া বিভিন্ন পারফর্মিং আর্ট বা খেলাধুলার জন্যও ক্লাব ছিল। সেগুলোর সুযোগ কমে গেছে, এমনকি খেলাধুলার জন্য মাঠও পাওয়া যায় না এখন। যা শিক্ষার্থীদের ডিপ্রেশনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
/এসএইচ
Leave a reply