রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আবারও শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। কিয়েভে সামরিক শক্তি বাড়াতে আরও তিন লাখ সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্তে রাশিয়া ছাড়তে শুরু করেছে লাখ-লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই পাড়ি জমাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলোতে। দেশ ছাড়ার হিড়িকে, এরইমধ্যে বিমানের টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে সড়কপথকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। খবর এপির।
মাইলের পর মাইল গাড়ির এ দীর্ঘ সারি রাশিয়া-জর্জিয়া সীমান্তে। দেশ ছাড়তে মরিয়া এসব রুশ নাগরিক। কোন যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও, নতুন করে শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে গোটা রাশিয়া জুড়েই।
ইউক্রেনে শক্তিমত্তা বাড়াতে আরও তিন লাখ লোকবল নিয়োগে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পরই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন রাশিয়ানরা। বিশেষকরে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার থাকায় তুরস্ক, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তানে চাপ তুলনামূলক বেশি।
রুশ নাগরিকদের দেশ ছাড়ার হিড়িকে এরই মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে বিমানের টিকিটের। কোনো কোনো দেশে আগামী এক মাস পর্যন্ত মিলছে না টিকিট। দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রাইভেট বিমানের সিট প্রতি ২৭ হাজার ডলার পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে ।
বিমানের কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে সড়ক পথকে বেছে নিচ্ছেন বহু মানুষ। বাড়তি গাড়ির চাপে সীমান্ত এলাকাগুলোতে তীব্র যানযট দেখা দিয়েছে। কেবলমাত্র জর্জিয়া সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি পারাপারের অপেক্ষায়।
একক ক্ষমতা ও জবাবদিহিতার অভাবই প্রেসিডেন্ট পুতিনের এমন স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণ বলে মনে করেন রুশ নাগরিকরা।
এটিএম/
Leave a reply