কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারি কিংবা সিজার করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। খোদ রাজধানীতেই দেয়া হচ্ছে এমন সেবা। চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মিরপুরের ওজিএসবি হাসপাতালটি পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঁচ তারকা। রোগীরা বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর ডাক্তারদের ব্যবহারের বিবেচনাতেও এ হাসপাতাল অনন্য। স্বাস্থ্যখাতের হাজারও নেতিবাচক খবরের মাঝে রাজধানীর মিরপুরে গড়ে ওঠা এই হাসপাতাল সৃষ্টি করেছে এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
বাড়তি অর্থ খরচেও বেসরকারী হাসপাতালে পাচ্ছিলেন না কাঙ্খিত সেবা, সাথে ছিলো চিকিৎসকদের অযত্নের পাণ্ডুলিপি- এমন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে হাসপাতাল পরিবর্তন করে গত তিনমাস ধরে ওজিএসবি হাসপাতালে সেবা নিচ্ছেন এক প্রসূতি মা। খোদ রাজধানীতে এমন সেবা পেয়ে স্বস্তির বার্তা দিলেন তিনি।
পারিশ্রমিক ছাড়াই প্রসূতি মায়ের সিজার করান চিকিৎসকরা
১৯৯৫ সালে পথচলা শুরু করা মিরপুরের এ হাসপাতালটি নীরবে নিভৃতে বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে নারীদের। যারা উপকৃত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। যাদের জন্য ভালো চিকিৎসার সাথে পকেটের খোঁজ রাখাটা বাধ্যতামূলক।
এবার বলবো এই মহতি উদ্যোগের পথ চলার গল্প। চিকিৎসকদের সম্মিলিত চেষ্টায় শুরু হয় এই হাসপাতাল। পথচলার মূলমন্ত্র ছিলো সব শ্রেণীর মানুষের জন্য আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান।
ওজিএসবি হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গুলশান আরা বললেন, আমাদের ভাবনায় ছিল যে কীভাবে কম মূল্যে উন্নত চিকিৎসা দেয়া যায়। আমরা হয়তো ফাইভ স্টার হাসপাতালের মতো বাইরে থেকে চকমকে না, কিন্তু একটি হাসপাতাল যে রকম পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, সেরকম হওয়া ছাড়াও অল্প মূল্যে চিকিৎসা নিতে যারা আসেন তাদের জন্যও সহজে প্রবেশযোগ্য।
লোকচক্ষুর কিছুটা অন্তরালে থাকলেও স্বাস্থ্য খাতের হাজারো নেতিবাচক খবর মাঝে ওজিএসবি হাসপাতাল তার সার্বিক পরিবেশ ও সেবার কারণে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পেয়েছে বিশেষ স্বীকৃতি।
এ প্রসঙ্গে ওজিএসবি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল করিম বললেন- মাতৃত্ব ও নবজাতক সেবা, সেবা প্রদানের সার্বিক প্রস্ততি এবং সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতাকেও এখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। এসব বিবেচনায় ফ্যাসিলিটি লেভেল ফাইভ হিসেবে তারা আমাদের মূল্যায়ন করেছে। হয়তো চাকচিক্যটা কম কিন্তু মান ফাইভ স্টারের মতোই।
যেখানে নরমাল ডেলিভারিতে খরচ নাম মাত্র ৭ হাজার টাকা আর সিজারিয়ানে ১৫ হাজার টাকা।
ওজিএসবি হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. সুমাইয়া আক্তার বললেন- রোগীরা যেভাবে ভাবেন যে প্রথমত, ভাল বিহেভ এবং আমাদের ব্যাপারে সবকিছু শুনবেন। দ্বিতীয়ত, আমি যেখানেই যাবো সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটা বড় বিষয়। আমি যেখানেই যাবো আমি চেষ্টা করবো কমের মধ্যে ভাল একটা ট্রিটমেন্ট নিতে। আমার মনে হয় পেশেন্টরা এখানে এসে খুশি হচ্ছেন তার কারণ এগুলোই।
/এসএইচ
Leave a reply